সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৪১

বিএনপি আট বছরে আট মিনিটও রাজপথে উত্তাপ আনতে পারেনি: ওবায়দুল কাদের

‘বিএনপি আমাদের পদত্যাগ করতে বলে। তারা আট বছরে আট মিনিটের জন্যও রাজপথে উত্তাপ আনতে পারেনি। সেই ব্যর্থতা নিয়ে তাদের টপ-টু-বটম পদত্যাগ করা উচিত’- এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় শুক্রবার (৪ আগস্ট) ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়টিকে ঐতিহাসিক রায় হিসেবে বর্ণনা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই রায়ের পর বর্তমান সরকারের আর ক্ষমতায় থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রায়ের পর সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে বিএনপির মহাসচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আলমগীর সাহেব, বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়। কোন ইঙ্গিতে এ কথা (সরকারের পদত্যাগ) বলছেন, সেটা আমরা জানি। এ দেশ পাকিস্তান নয়, পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীন হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পদত্যাগের কথা বলেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকার হলো শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনার সরকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পদত্যাগের প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন।’

বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনাকে বলি, আবারও বলি, বাংলাদেশে একটা-দুইটা আঘাতে স্তিমিত হওয়ার দল আওয়ামী লীগ না।… আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত, শেখ হাসিনার গণভিত, এবং আওয়ামী লীগের ভিত অনেক বেশি শক্তিশালী। আঘাত করে আমাদের পরাজিত করা যাবে না। আমরা সেই শক্তি, যারা অতলের কিনারা থেকে, সময়ের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাই সামনের দিকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। দলের চেয়ারম্যান দেশের বাইরে, ভাইস চেয়ারম্যান বিদেশে। কবে আসবে কেউ জানে না। টেমস নদীর পাড়ে বসে বসে চোরাগলি খুঁজছেন, কোন গলি দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, আপনার মনের জ্বালা আমরা বুঝি, কষ্টটাও বুঝি। বারে বারে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। কবে আসবে তাও জানি না, ঈদের পর ঈদ যায়, মাসের পর মাস যায় মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। কেবলই ডাক আসে, সব ডাকই আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দলের অনেকেই চেহারা পাল্টিয়েছিলেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কিন্তু পালিয়ে যাইনি। কিন্তু তখন অনেকের বাড়িতে গিয়ে দরজা নক করেও পেতাম না। বাড়িতে থেকেও বলতেন নেই।’

বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা র আ ম রবিউল মোক্তাদির চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধরণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত