সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০৬

উপকমিটিতে ‘অনুপ্রবেশকারী’, তোপের মুখে কাদের

গঠন প্রক্রিয়ায় থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক পদে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডারসহ বিতর্কিতদের নিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিতরা। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের সামনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গাড়ি ঘেরাও করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি ভেতরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

এদিকে, পদবঞ্চিত নেতারা দলীয় সভাপতির শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সহসম্পাদক পদে অনুপ্রবেশকারী ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিদের বাদ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করবেন তারা।

অন্যদিকে, উপকমিটির সহসম্পাদক পদ পাওয়া বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডারসহ বিতর্কিতরা পদ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানার পর এখন দলীয় কার্যালয় ও দলের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ধরনা দিতে শুরু করেছেন তারা। কেউ কেউ বিএনপি-ছাত্রদল নয়, আগে থেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন প্রমাণের চেষ্টায় নেমেছেন। এ-সংক্রান্ত 'তথ্যপ্রমাণ' হাজির করার চেষ্টাও চালাচ্ছেন অনেকে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবশ্য উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রক্রিয়াধীন উপকমিটির সহসম্পাদকদের আপাতত সদস্য হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পদবঞ্চিতদের ক্ষোভের জবাবে তিন মাসের মধ্যে এই সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এই সময়কালে সহসম্পাদকদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি যাচাই-বাছাই করে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এমনকি দক্ষ ও যোগ্যদের উপকমিটিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলেছেন- এমন দাবি পদবঞ্চিত নেতাদের।

শনিবার সকাল থেকে শতাধিক পদবঞ্চিত সাবেক সহসম্পাদক ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সাবেক শীর্ষ নেতা ধানমণ্ডির কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এসময় তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি কার্যালয়ে উপস্থিত দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে ওবায়দুল কাদেরের গাড়ি ঘেরাও করেন তারা। উপকমিটিতে অনুপ্রবেশকারীদের অন্তর্ভুক্তির জন্য দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতাকেও দায়ী করেন।

সব পরিস্থিতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দেবেন তারা। ওই আবেদনে সহসম্পাদক পদে যুক্ত হওয়া বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডারদের বিষয়ে সব তথ্যপ্রমাণও যুক্ত করা হবে। বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিদের প্রক্রিয়াধীন উপকমিটিতে সহসম্পাদক পদে যুক্ত করার পেছনে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত