সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ আগস্ট, ২০১৫ ১৭:০৫

মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করেন পিপি, কেননা তিনি চাটুকার : সুরঞ্জিত

‘মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করেন পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর)। মামলা করার প্রয়োজন হলে তো মন্ত্রী করবে। পিপি আগ বাড়িয়ে মামলা করেছেন কেননা তিনি চাটুকার’।

বুধবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) হল রুমে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।

তিনি আরও বলেন- মামলাটি যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ শুধু গন্ধ ছড়াবে। আশা করব কেবল জামিন নয়, মামলাটি তুলে নেয়া হবে।

সুরঞ্জিত আরও বলেন- ‘প্রবীর সিকদারকে চোখ বেঁধে ইন্টারোগেট করা হয়েছে এটা খুবই লজ্জাজনক। এই বিষয়গুলো শত্রু পক্ষের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়’ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নারায়ণ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আব্দুল হাই কানু, হারুন চৌধুরী, ইস্কান্দার মির্জা শামীম, আসাদুজ্জামান দুর্জয়, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) একটি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “অঙ্গ হারানো একজন মানুষকে হাতকড়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া, তার ছবি প্রকাশ করা, এতো তড়িঘড়ি করে তাকে রিমান্ডে নেওয়া স্বাভাবিক মনে হয়নি।

“তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাতের আঁধারেই ফরিদপুর নিয়ে যেতে হল? এতো এফিশিয়েন্ট হয়ে গেল পুলিশ, ডিবি?”

এসব ঘটনার পর কোনো বিবেকবান মানুষের আর শান্ত হয়ে থাকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন সরকার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত।

“সাংবাদিক, সাংবাদিকতা একটি প্রতিষ্ঠান। আমি মনে করি একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের এভাবে দাঁড়ানো উচিত নয়।”

রোববার রাতে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ফেইসবুকে লিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত