সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:২৮

কিছু জানেন না কাদের

আওয়ামী লীগের একুশতম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন তা জানতে ধৈর্য ধরে আরও একদিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

সম্মেলন শুরুর আগের দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আল্লাহ পাক জানেন, আর নেত্রী জানেন। আমি কিছু জানি না।”

শুক্র ও শনিবার ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেবে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পুরনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দলের নেতারা বলে আসছেন, সভাপতি পদে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। ফলে সম্মেলনের মূল আলোচনা এখন সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে।

২০১৬ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসা ওবায়দুল কাদেরই ওই পদে থাকছেন, না কোনো পরিবর্তন আসছে- সেই প্রশ্নের উত্তরই ঘুরে ফিরে আসছে রাজনীতির আলোচনায়।

সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে আবারও সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট আমাদের নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমাদের কাউন্সিলররাও তাকিয়ে থাকবে আমাদের নেত্রী কাকে চান, কীভাবে চান। কীভাবে নেতৃত্ব থাকবে। নতুন নেতৃত্বকে কোন মডেলে সাজাবেনৃ। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। একুশ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।”

সম্মেলনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা চলছে, শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, আমাদের নেতাকর্মীদের ঢলও সারা দেশে থেকে ততই বাড়ছে। সারা দেশ থেকে আমাদের দলের অসংখ্য নেতাকর্মী আগামীকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।”

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে এবার নতুন নেতৃত্বে জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদের এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে গত নির্বাচনে আমাদের নেত্রী দেশ ও জাতির কাছে যে এজেন্ডা দিয়েছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালনে, আমাদের নেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নের উপযোগী শক্তি হিসেবে আমরা আওয়ামী লীগের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তি মিলিয়ে, একটা ফাইন ব্যালেন্স করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, নির্বাচনী ইশতিহারের প্রতিশ্রুতিগুলো আওয়ামী লীগ পূরণ করবে। কিন্তু সেজন্য শুধু সরকার শক্তিশালী হলে হবে না। দলকেও শক্তিশালী থাকতে হবে।

“দলকে শক্তিশালী করা, সুসংগঠিত করাৃ আধুনিক একটা মডার্ন, স্মার্ট একটা পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে আমরা জনগণের সামনে উপহার দেব।”

সাম্প্রদায়িক শক্তির চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে চলে গেছে এটা বলার উপায় নাই। তারা তলে তলে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ,এটা আমাদের বিশ্বাস। কাজেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন যেন করতে পারি, সেটা আমাদের জাতীয় সম্মেলনের অঙ্গীকার।”
আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি কতটুকু সফল হয়েছে- এ প্রশ্নে সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সফলতার পাশাপাশি আমাদের ব্যর্থতাও আছে। সফলতা-ব্যর্থতার বিষয়টি বিবেচনা করবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সর্বোপরি দেশের জনগণই সফলতা-ব্যর্থতার বিচার করবে।

“আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবতর পথযাত্রার সূচনা করব এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।”

অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত