নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:১৭

সিলেটের নেতাদের ভাগ্য খুলবে কি?

আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা আজ

গত শনিবার কাউন্সিল শেষে ঘোষিত হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। কমিটিতে ঘোষিত ৪২ জনের তালিকায় একমাত্র নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়া সিলেটের আর কোনো নেতার ঠাঁই হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণার কথা রয়েছে। ফলে আবার আশায় বুক বেঁধেছেন সিলেটের পদপ্রত্যাশী নেতারা। আজ তাদের প্রত্যাশা পুরণ হবে কি না তা দেখার অপেক্ষায় আছেন নেতাকর্মীরা।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৮১ সদস্যের হওয়ার কথা। ফলে আজ আরও ৩৯ সদস্যের নাম ঘোষণা হতে পারে।

আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে সিলেট বিভাগ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছিলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। টানা তিনবার এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়া গত কমিটার সদস্য হিসেবে ছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও রফিকুর রহমান। শনিবার ঘোষিত আংশিক কমিটিতে এই তিনজনেরই কেউই স্থান পাননি।

অথচ কাউন্সিলের আগে নতুন কমিটিতে ঠাঁই পেতে পারেন বলে আলোচনায় ছিলেন তারা। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পদোন্নতি পেতে পারেন বলেও আলোচনায় ছিলেন। কামরানকে সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতির পদ থেকে সরানোর ফলে এই আলোচনা আরও জোরালো হয়। তবে শনিবার কাউন্সিল শেষে হতাশই হতে হয় তাদের।

নতুন কমিটিতে ঠাঁই হতে পারে এমন আলোচনায় থাকা সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির সদ্য সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আসাদ উদ্দিন আহমেদেরও জায়গা হয়নি। গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কামরানের মতো পদ হারান শফিক এবং আসাদও। কামরান প্রায় তিন দশক পর এবং শফিক ও আসাদ প্রায় ৭ বছর পর সিলেটে দলটির শীর্ষ পদ থেকে পদচ্যুত হন। ফলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়িত হতে পারেন এমন আলোচনায় ছিলেন তারা।

এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমনও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন বলে আশা করেছিলেন তাদের অনুসারীরা।

তবে শনিবার কেন্দ্রের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর হতাশই হতে হয় সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। আংশিক কমিটিতে সিলেটের নেতাদের মধ্যে কেবল আগের কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এবারও দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির সদস্য হয়েছেন। এছাড়াও আগের কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত, আবু নছর এবং ইনাম আহমদ চৌধুরী তাদের অবস্থান ধরে রেখেছেন।

আংশিক কমিটি ঘোষণার পরদিনই দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে। ফলে আবার আশায় বুক বেঁধেছেন সিলেটের পদপ্রত্যাশী নেতারা। তাদের অনুসারীরাও চেয়ে আছেন কেন্দ্রের সিদদ্ধান্তের দিকে।

এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে কোষাধ্যক্ষ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, তিনটা সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ, উপ-প্রচার এবং উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদ। কার্যনির্বাহী সদস্যের পদও ফাঁকা আছে।

এব্যাপারে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সিলেটের কেউ কমিটিতে আসবেন কি না তা বলতে পারবো না। সব সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপরই নির্ভর করে। তিনি দলের জন্য যা মঙ্গলজনক সেই সিদ্ধান্তই নেবেন।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত ২১তম কাউন্সিলে নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত