সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:০৯

বাঘা যতীনের স্মরণে বৃহস্পতিবার নির্মূল কমিটির ওয়েবিনার

উনিশ শতকের শেষার্ধে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বিপ্লবীরা যে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় তার চূড়ান্ত অভিব্যক্তি ছিল ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। স্বাধীন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর একাধিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মাস্টারদা সূর্যসেন, বাঘা যতীন, ক্ষুদিরাম প্রমুখের অবদান স্মরণ করেছেন।

বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৭৯-১৯১৫), যিনি বাঘা যতীন নামে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর কয়া গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনেই তিনি অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং দেশমাতৃকার মুক্তির শপথ গ্রহণ করেন। ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঘা যতীনের জীবনের মূলমন্ত্র ছিল “আমরা মরব, দেশ জাগবে”। মাতৃভূমির মুক্তির জন্য তাঁর মহান আত্মত্যাগ যুগে যুগে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করেছে বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের তরুণ সমাজকে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের এই আত্মদান অনিবার্য করেছে নৃশংস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় বিজয়ে।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় শহীদ বাঘা যতীনের ১০৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই ওয়েবিনারে বক্তব্য প্রদান করবেন শহীদ বাঘা যতীনের পৌত্র ইন্দুজ্যোতি মুখোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গ), বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, গবেষক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় (মহাসচিব, ইন্সটিটিউট অব সোশাল এন্ড কালচারাল হিস্ট্রি, ভারত), নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল এবং সংগঠনের আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয়ভাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কুমারখালী ও কয়া শাখা এলাকার বাঘা যতীন থিয়েটারের উদ্যোগে কয়া মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ১০ সেপ্টেম্বর সকালে এক স্মরণ সভার আয়োজন করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত