সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২৪ অক্টোবর, ২০২০ ১৮:৪৬

সিলেট বিভাগীয় কর্মচারী প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সিলেট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এই প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন বিভাগীয় ইউনিটের সভাপতি মো. আফিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া (মিলন)।

বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ সমাজসেবা কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়ারেছ আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের মহাসচিব আমজাদ আলী খান।

বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ পোষ্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. রকিব আলী, বাংলাদেশ সমাজসেবা কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল কালাম, বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখা, ডাক বিভাগ সম্পাদক দোলন রঞ্জন দেব, বাংলাদেশ পোষ্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ পোষ্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান, বাংলাদেশ পোষ্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. ফোকন মিয়া, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কবির, আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ পোষ্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. বরকত আলী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মচারী সমিতি সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তুফা উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, কারিগরি প্রশিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ সাঈম খান, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. আবুল হাসনাত, মো. জামাল আহমেদ, মো. ইকরামুল কবির, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মান্নান, মোছা. ফাহমিদা খাতুন, মো. আব্দুল জলিল, মোছা. মিনারা বেগম, মোছা. নাজিরা বেগম, মো. আব্দুর রহমান, শামীম আহমেদ, মো. সোহরাব হোসেন মিয়া, মো. হারুন মোল্লা, মো. আমজাদ আলী, সুভাষ ত্রিপুরা, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. খালিদ মিয়া, মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে (১) জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন পূর্বক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সনের ১০ ধাপে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১৪৫ হতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল করতে হবে। (২) এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরের সরকারি কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। বøক পোষ্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সূষ্টি করতে হবে। (৩) আউটসোসিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। বিভিন্ন দপ্তর/ প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ডাক বিভাগের প্রার্থী প্রথা চালুসহ মাস্টার রোল ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। (৪) সরকারি কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় ৩টি টাইস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পূর্ণ:বহাল করতে হবে। জীবন যাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০% থেকে ১০০% ও গ্রাইটির হার ১ টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীত করণ করতে হবে। (৫) ৯ম পে-স্কেল প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্ব গতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০% মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে। (৬) প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষটাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে। ও (৭) চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ন্যায় অন্যান্য সকল দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত