সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

৩১ জুলাই, ২০২১ ১৬:৪৮

শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সহায়তা পেলো ১৩৫ ত্রিপুরা পরিবার

মহামারি করোনাকালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে বসবাসরত রেমা-কালেঙ্গার পাঁচটি পল্লীর ১৩৫টি ত্রিপুরা পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা, শিক্ষা উপকরণ ও ছাগল বিতরণের আয়োজন করে বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদ। এতে সহযোগিতায় ছিলো বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, ঢাকা মহানগর শাখা ও করোনামুক্ত শ্রীমঙ্গল চাই।

বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের  উদ্যোগে শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কালেঙ্গা মঙ্গোলিয়া বাড়ি স্কুল মাঠে ত্রিপুরা পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও অসহায়দের মাঝে ছাগল বিতরণ করেছে সংগঠনটি। মঙ্গোলিয়া পাড়ার হেডম্যান সমচরণ দেববর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য সহায়তা বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জনক দেববর্মা।

সংগঠনের সাধারণ সুমন দেববর্মার সঞ্চালনায়, সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান, কালেঙ্গা বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মকবুল হোসেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মনি দেববর্মা, অনন্ত বিকাশ ধামাই, অ্যাডভোকেট রনেশ ত্রিপুরা, বাদুলা ত্রিপুরা, নিরঞ্জন দেববর্মা, করোনামুক্ত শ্রীমঙ্গল চাইয়ের এ্যাডমিন প্রিতম দাশ, সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, ডেইলি স্টার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা।

খাদ্য সহায়তা বিতরণী অনুষ্ঠানে কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনের ডেবরাপাড়া, ছনবাড়ি, মঙ্গোলিয়া বাড়ি, গাইরিং পাড়া, চাখুই পাড়া ও জাম্বুরাছড়ার অসহায় দুস্থ ও গরিব ১৩৫টি পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু, চিনি ইত্যাদি খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।

এর আগে একই সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ৫টি পাড়ার শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ খাতা,কলম ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। পরে আদিবাসী ৪টি পরিবারের মধ্যে ১টি করে ছাগল বিতরণ করা হয়।

বিতরণী অনুষ্ঠানের সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, আদিবাসী ত্রিপুরা পল্লীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবন মান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা। তারা বলেন, কালেঙ্গার আদিবাসীরা অত্যন্ত অবহেলিত। তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ত্রিপুরা পল্লী গুলোতে নেই কোনো স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কোনো ভালো মন্দির। শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে থাকায় তারা সমাজে পিছিয়ে আছে। সরকারি অনুদানও তাদের কাছে পৌঁছায় না। মাঝখানে মধ্যস্বত্বভোগীরা তা গ্রাস করে ফেলে। তাদের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসা এবং উন্নয়নের মূল ধারায় তাদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি তারা দাবি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত