সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:২২

সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : ব্যারিস্টার হায়দার আলী

পৌরসভায় ভোট গ্রহণের সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে সহিংসতা ততই বাড়ছে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় বিরোধী দলের ওপর হামলা-নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহীদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক তথ্য সচিব ব্যারিস্টার হায়দার আলী।

ব্যারিস্টার হায়দার আলী শুক্রবার সকালে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোঃ হারুন-অর-রশিদের পক্ষে গণসংযোগ, প্রচারণা ও বিভিন্ন পথ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। আরও বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিএনপি‘র নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতায়ার হোসেন পাটোয়ারী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির বেপারী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি‘র উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি মজিবুর রহমান দুলাল, পৌর সহ-সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন বাবুল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মতিন, পৌর যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ হোসেন বেপারী, জেলা ন্যাপ সমন্বয়কারী মোঃ আবদুল হালিম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী ইসমাইল হোসেন সোহেল, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

ব্যারিস্টার হায়দার আলী বলেছেন, পৌরসভার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মহড়া হচ্ছে। দেশে জাতীয় নির্বাচন দেয়া এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আর নৌকা চায় না। পৌরসভার নির্বাচনে জনগণ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে তা বুঝিয়ে দেবে। এই সরকার ভোট কারচুপি করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সজাগ। তারা ভোট ছিনতাই এবং ভোট ডাকাতদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশের দাবি ছিল সাংবাদিকেরা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে। এটি বাস্তবায়িত হলে তারা সরকারের নীল নক্সার নির্বাচন পূরণ করার চেষ্টা করবে। পুলিশের এ আবেদনেই প্রমাণ হয় সরকার এখনও নীল নক্সার ভেতরেই রয়েছে। সাংবাদিকের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নতুন সিদ্ধান্ত ভোট ডাকাতি ও ষড়যন্ত্রেরই নীলনকশা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। কারণ, আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন নির্বাচনে বল প্রয়োগের চেষ্টা করবে।

নির্বাচনী পরিবেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতিশীল হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌর নির্বাচনে সেনাবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার তার প্রয়োজন বোধ করেননি। তিনি হয়তো পত্রিকা পড়েন না। প্রায় প্রতিদিন খবর হচ্ছে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা হানাহানি করছে। আর বিরোধী দলের কর্মীদের হয়রানি করাতো চলছেই।

নেতৃবৃন্দ সারা দিন পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড, ২ নং কেরোয়া, ৩ নং ওয়ার্ডেও মিরপুরে, ৪নং ওয়ার্ডের বাজারের কালীমন্দির,সহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথ সভায় বক্তব্য রাখেন।

পরে মতলব পৌরসভা ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর পক্ষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত