ডেস্ক রিপোর্ট

০১ জানুয়ারি, ২০১৬ ২১:১০

নগরীতে শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের মিছিল, সমাবেশ

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখা নূন্যতম মজুরী ১৬ হাজার টাকা, স্বাস্থ্যসম্মত-নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন চালু সহ ৬দফা দাবিতে আজ ১ জানুয়ারী’১৬ বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

সিলেট সিটি পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সুশান্ত সিনহা সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ(মার্কসবাদী) এর সিলেট জেলার সদস্য হুমায়ূন রশীদ শোয়েব, চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সভাপতি বীরেন সিং, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান সাইদুল, অর্থ সম্পাদক প্রণব সিংহ এবং সদস্য মহীতোষ দেব মলয় প্রমুখ।

সমাবেশ পরে অনুষ্ঠিত মিছিলটি সিলেটের গুরত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে আম্বরখানা পয়েন্টে এসে শেষ হয়।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-স্কেল ঘোষিত হয়েছে, বেতন বাড়ানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী-এমপিদের। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে, শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষিত হবে না কেন?

নতুন পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন হবে কমপক্ষে ১৭,৩৬২টাকা।পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সম্প্রতি সব শ্রমিক সংগঠনের ডাকে জাতীয় ধর্মঘটে ন্যূনতম জাতীয় মজুরি দাবি করা হয়েছে ১৫,০০০ রুপি যা বাংলাদেশি টাকায় ১৮,০০০টাকা। আবার সংশোধিত শ্রম আইন ২০১৩- এ নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে মালিক পক্ষকে বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়েছে।

এমনকি দাবি দাওয়া আদায়ে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকারকেও মালিক ও সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ রেখে কার্যত অসম্ভব করে তোলা হয়েছে।

আবার কর্মস্থলে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মালিকদের কোন দায়িত্ব নেই। ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা, স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ-কর্ম পরিবেশ, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন চালু, শ্রমিকদের জন্য সরকারি খরচে রেশন-আবাসন-চিকিৎসা-শিক্ষা এবং সকল শ্রমিককে নিয়োগপত্র-ওভারটাইম-বোনাস-গ্রাচুইটি-পেনশন দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত