সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জুন, ২০২৩ ১৮:৫৫

কবি পুলিন রায়ের জন্মদিন ও পেশাগত স্বীকৃতিতে আনন্দ আড্ডা

কবি পুলিন রায়ের ৫৮তম জন্মদিন এবং সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বীকৃতি অর্জন করায় সিলেট সাহিত্য পরিষদ ও লিটল ম্যাগাজিন ভাস্কর পরিবার-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) 'আনন্দ আড্ডা' গোপালটিলার 'ভাস্কর' ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও ভাস্কর-এর সম্পাদনা সহযোগী মো. নিয়াজ উদ্দীনের সঞ্চালনায় কবি পুলিন রায়ের লেখকসত্তার উৎকর্ষ কামনা করে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর গবেষক কবি নৃপেন্দ্র লাল দাশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক অনুষদের ডিন কবি গবেষক ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, কবি গবেষক এ কে শেরাম, সাংবাদিক-লোক গবেষক সুমনকুমার দাশ, কবি রসময় ভট্টাচার্য, কবিকন্ঠের মুখ্য নির্বাহী নাট্যজন বাবুল আহমদ, অগ্নিশিখা সম্পাদক কবি সুমন বনিক, কবি আবিদ ফায়সাল, গীতিকবি হরিপদ চন্দ, কবি শিক্ষক শাহাব উদ্দিন আহমেদ, কবি অধ্যাপক জান্নাত আরা খান পান্না, সামছুদ্দোহা ফজল সিদ্দিকী, কবি সন্তোষ রঞ্জন পাল, সিলেট সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন তালুকদার, কবি অমিতা বর্দ্ধন, হীরা মোহন রায়, রঞ্জু রানী রায় ও অনিমেষ রায় পিয়াস প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি পুলিন রায়কে পুষ্পস্তবক দিয়ে ফুলেল শুভেচছা জানান সিলেট সাহিত্য পরিষদ, 'ভাস্কর' পরিবার, কবি এ কে শেরাম, ছোটোকাগজ অগ্নিশিখা, কবিকণ্ঠ, সিলেট, ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম ও কবি পুলিন রায়ের পরিবার।

কবি পুলিন রায় তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আজ আমার যা কিছু অর্জন তা সম্ভব হয়েছে আমার মা-বাবার আশীর্বাদসহ সকল সুহৃদ-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ও শুভাশিসের কারণে। আমার পেছনে আমার পরিবারের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি ১৯৮১ সালে এসএসসি পাসের পরে আর কলেজে ভর্তি হইনি। আমার শিক্ষক বাবা পরলোকগমন করেন ১৯৭৯ তে, আমি নাইনে পড়াকালে। এসএসসি পাসের পর সংসারের বড় ছেলে হওয়ায় জীবনে টিকে থাকার জন্য করতে হয়েছে কঠোর জীবনসংগ্রাম। মানুষের বাড়িতে ক্ষেতের কাজ করা থেকে শুরু করে মাছ ধরে বিক্রি করা, বাজারে গলিতে বসে চাল আটা বিক্রি করা, ম্যাচ ও পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করা এবং জলসায় পানের দোকানদারি করাসহ এসএসসি পাস আমি কত কী করেছি বেঁচে থাকার জন্য। একসময় পাহাড় থেকে লাকড়ি (কাঠ) কাটিয়ে আনার ক্ষুদ্র ব্যবসায় পায়ের নিচে একটু মাটি আসায় প্রাইভেটে ১৯৮৫-তে এইচএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তি হই। তারপর আজ এই পযার্য়ে এসেছি। তিনি সবার শুভকামনা প্রার্থনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত