সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০১৬ ২১:৪৯

বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে বাস্তবায়িত করাকে প্রতিপাদ্য রেখে যথাযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনায় বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজে ৪৬ তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।

 অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ. মুজিবুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জিবি সদস্য মো. শরফ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ. আবদুল মুছব্বির ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালীক ফারুক; সাপ্তাহিক দিবালোক পত্রিকার সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার, সাংবাদিক শাবুল আহমেদ এবং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীবৃন্দ। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ হয়। তারপর সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে যেসব সূর্যসন্তানরা অকাতরে জীবনদান করে গেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, দু’জন মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা, কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বৃত্তি প্রদান ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠান। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক মোঃ. খালেদ হোসেন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক কবির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক মোঃ. ফয়ছল আহমদ।  

পুরুষপাল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ. আবদুল মুছব্বির ও বড়দেশ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালীক ফারুককে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মাননা পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সম্মাননা পুরস্কার তোলে দেয়া হয় প্রধান অতিথি একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদারের হাতেও।  

সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি, তারা মওদূদীবাদের স্বরূপ উন্মোচন করেন এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দেশ ও জাতির শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রধান অতিথি অত্যন্ত চমৎকারভাবে বাঙলা, বাঙালি ও বাঙালির স্বকীয়তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তার প্রাণস্পর্শী ও হৃদয়গ্রাহী বক্তব্যে দেশ ও জাতিকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি আরো বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বস্তরে প্রতিফলিত করে প্রত্যেক শিক্ষার্থী আগামী দিনের মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে। অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমান বলেন দেশকে এগিয়ে নেবার জন্যে ও মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে। দেশপ্রেমকে ঈমানের অঙ্গ আখ্যায়িত করে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

রিপা কর, সুস্মিতা রাণী দেবী, মাসুম আহমদ, প্রিয়তোষ চক্রবর্তী, সঞ্জয় আচার্য প্রমুখের দেশাত্মবোধক ও বাউল গান পরিবেশনা ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসের পরিসমাপ্তি ঘটে।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত