সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ জুলাই, ২০১৬ ১৮:৩৯

সিলেটে হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসী নারীর অভিযোগ

সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আহমদ হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগ করেছেন শিক্ষানুরাগী মরহুম জিয়া উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী জহুরা জিয়া চৌধুরী।

হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানী ও হুমকীর অভিযোগ করে তিনি কোম্পানির ভূমি খেকোদের গ্রেফতার দাবি করেন। মঙ্গলবার(১৯ জুলাই) সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে বড়শালা গ্রামের জহুরা জিয়া উল্লেখ করেন, তার স্বামী ১৯৭৬  সালে বড়শালায় বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিতে বসবাস শুরু করেন। ৭ বছর আগে তিনি মারা যান। সন্তানরা সবাই বিদেশ অবস্থান করলেও তিনি স্বামীর সস্পত্তি দেখা শোনার জন্য প্রায়ই দেশে আসেন। বাড়ির পার্শ্ববর্তী আহমদ হাউজিংয়ের এমডি হেলেন আহমদ তার সহায় সম্পত্তি জবর দখলের জন্য বিভিন্ন ধরনের পায়তারা শুরু করেন।

তাদের হুমকিতে ৯ জুলাই এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জহুরা। কিন্তু আহমদ হাউজিংয়ের কেয়ার টেকার মিসবাউল ইসলাম কয়েছ ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয়। সে গত ১০ জুলাই ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে ও গেইট তালাবদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। মামলা নং-১১৭, ১০/০৭/১৬।

জহুরা জিয়া চৌধুরী জানান, সিলেটের ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত হেলেন আহমদ ও মিসবাউল ইসলাম কয়েছ মামলাবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে সকলের নিকটই পরিচিত। আহমদ হাউজিংয়ের অভ্যন্তরে মিরিটারী এস্টেটের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ২০০৮ সালে ১৯ জুন হাউজিংয়ের অবৈধ দখল থেকে যৌথবাহিনী প্রায় ১২ কোটি টাকার জায়গা উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে হেলেন ও কয়েছ পেশী শক্তির বলে আবার সেই জমি দখল করে নেয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ দিনমজুর মানুষকে হয়রানি করা যেন তার নিত্যদিনের পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা হামলার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে কেউ সাহস পায়না।

জহুরা বলেন, বর্তমানে আমার সহায় সম্পত্তির উপর তাদের কুদৃষ্টি পড়েছে। প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে এবং পেশি শক্তির বলে আমার সম্পত্তি গ্রাস করার বিভিন্ন  পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ভূমিদস্যু হেলেন ও কয়েছকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরীহ শান্তিপ্রিয় মহিলা তাকে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ প্রদানের দাবি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত