সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুলাই, ২০১৬ ১২:২৯

মণিপুরী মহাকবি হিজম অঙাংহল সিংহের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

মণিপুরী সাহিত্যের এক গৌরবময় ঐতিহ্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ মহাকাব্য। এই মহাকাব্যের রচয়িতা মহাকবি হিজম অঙাংহল সিংহের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ সিলেটের লালাদিঘির পূর্বপাড়স্থ নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজন করে এক অনুষ্ঠানমালার।

 সংসদের সভাপতি কবি এ কে শেরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার কবি আহমাদ সেলিম এবং এসএ টিভির সিলেট ব্যুরো চীফ ও একটি অনলাইন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমের  সম্পাদক আব্দুল আলিম শাহ।

সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি নামব্রম শংকরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কবি শেরাম নিরঞ্জন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিল কিষণ সিংহ, কবি আবিদ ফায়সাল ও কবি-গীতিকার এনায়েত হাসান মানিক। সভার শুরুতে মহাকবি হিজম অঙাংহল সিংহের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন নাসরিন আহমদ, কবির কবিতা বাংলা অনুবাদে পাঠ করেন শেরাম রিপন এবং মণিপুরী ভাষার মহাকাব্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ সম্পর্কে কবি এ কে শেরাম রচিত প্রবন্ধ পাঠ করেন খোইরোম কামেশ্বর। মহাকবি হিজম অঙাংহল জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯২ সালে মণিপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪৩ সালে।

মাত্র ৫১ বৎসরের সংক্ষিপ্ত জীবনকালে তিনি ৩৪০০০ পদ সম্বলিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর এক অমর প্রেমের কাহিনি নিয়ে রচিত অনন্য মহাকাব্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ ছাড়াও রচনা করেন ৮০০০ পদ সম্বলিত খ-কাব্য ‘শীঙঙেন ইন্দু’, ২টি সার্থক উপন্যাস, ২টি জনপ্রিয় ও মঞ্চসফল নাটক, বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কবিতা। বক্তারা মহাকবির হিজম অঙাংহল-এর এই বিশাল রচনাসম্ভার সম্পর্কে তাদের বিস্ময়মিশ্রিত অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা এই মহাকাব্য ও অন্যান্য রচনাসমগ্রকে বাংলা ভাষায় রূপান্তরের মাধ্যমে তাঁর রচনাকে বৃহত্তর পাঠকসমাজের কাছে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে এ-ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত