সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ আগস্ট, ২০১৬ ২০:২০

বিয়ানীবাজারে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ২০১৬ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

সিলেটের বিয়ানীবাজারে সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশন কর্তৃক জলঢুপ সপ্রাবিতে 'চিত্রাঙ্কন প্রকল্প-২০১৬'র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ।

এসএমসি'র সভাপতি জাবেদ আহমদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জলঢুপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন, সহকারি প্রধান শিক্ষক মুছব্বির আলী, কবি ওয়ালি মাহমুদ, জলঢুপ সপ্রাবি'র প্রধান শিক্ষক জয়নুল ইসলাম,  সংযুক্ত আরব-আমিরাত প্রবাসী লেখক ও ছড়াকার লুৎফুর রহমান, চারুলেখার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক সাইদুর রহমান, এ্যারাইভালস স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আলোকচিত্রী সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মানিক লাল পুরকায়স্থ ও সরফ উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ বলেন, সুকুমার প্রতিভা বিকাশে প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নতুন প্রজন্মকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে পাঠশালা কেন্দ্রিক শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা তথা প্রসার প্রতিষ্ঠা একান্ত প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিল্পের মাধ্যমে শিশুদের ভেতর লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করতে হবে। কেবল সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সবাইকে বিত্তের সাথে চিত্তের সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রঙ-তুলির আঁচড় দিয়ে শিশুদের কোমল প্রাণে স্বপ্ন, সাহস এবং অঙ্গীকার সাজিয়ে দিতে হবে কারণ আজকের এই শিশুরাই একদিন গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।

স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটেনবাসী কবি ও সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্যে শেকড় সন্ধানী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'মূলত জলঢুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমি পড়েছি, আমার বাবা ও দু'বোন এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এই ফাউন্ডেশনটি আমার বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত। সে জায়গা থেকে এ বিদ্যালয় থেকে এ প্রকল্পের যাত্রা শুরু করেছি। কেবল প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিকেও শিল্প সাহিত্য বিকাশে নানা রকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সৃষ্টিঘর বিতর্ক, শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতি দেয়ালিকা ও প্রকাশনা শাখায় কাজ করবে। নতুন প্রজন্মকে মৌলিক ও সৃজনমনস্ক করে গড়ে তুলতে সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশনের সৃষ্টিঘর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

এ আয়োজন শিক্ষার নিয়ামক শক্তি উল্লেখ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জলঢুপ সপ্রাবি' প্রধান শিক্ষক জয়নুল ইসলাম বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশে এ বিদ্যালয়ে প্রকল্পটির যাত্রারম্ভ নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আনন্দের এবং গৌরবের। তিনি আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সৃজনশীল এ কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

প্রসঙ্গত, ‘অন্ধকারে আলো’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০০৪ সাল থেকে শিল্প- সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করে যাচ্ছে সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সৃষ্টিঘর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে কাজ শুরু করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত