সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ০০:৩২

গোয়াইনঘাটে এফআইভিডিবি'র গ্রোথ মনিটরিং প্রমোশনের উদ্বোধন

ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বসবাসবাসরত দরিদ্র এবং হতদরিদ্র পরিবার সমূহকে সচেতনতা, প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে পুষ্টি ঘাটতি দূর করে খর্বাকৃতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ০-২ বছরের নীচের শিশুদের গ্রোথ মনিটরিং প্রমোশনের কাজ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

এর অংশ হিসাবে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের সানকিভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রোথ মনিটরিং প্রমোশনের কাজ উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গর্ভন্যান্স এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আবুবকর শিকদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেহান উদ্দিন, সেভ দ্যা চিলড্রেনের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (নিউট্রেশন) বজলুল কবীর জোয়ার্দ্দার, স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ আবুল কালাম, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার বখতিয়ার মোঃ আব্বাস ও ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর বুলবুল আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবির আহমদ, বাদল মিয়া, আল্পনা আক্তার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- শিশুর অপুষ্টির জন্য দায়ী আমরা সচেতন মানুষরা। আমরা যা জানি, তা যদি সকলের মধ্যে প্রচার করতে পারতাম তাহলে আমাদের উপজেলার শিশুদের এ অবস্থা হত না। আমরা যদি সচেতন হতাম, তাহলে শিশুরা আমাদেনর আশ-পাশ থেকে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারতো এবং তারা অনেক বুদ্ধিমান হত।
তিনি অপুষ্টির শিকার শিশু কিভাবে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে, তা আলোচনা করেন। শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, এটা হল শিশুর জীবনের প্রথম টিকা।

গর্ভবতী মায়েদেরকে এএসসি সেবা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ন হলে বাড়তি খাবার খাওয়ানোর জন্য বলেন। গর্ভাবস্থায় মাকে প্রতি বেলায় এক মুঠো করে ৩-৪ বার খাবার খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ২০ জন শিশুর ওজন ও মুয়াক পরিমাপ করা হয় এবং শিশুর মায়েদের শিশুর বর্তমান অবস্থানের প্রেক্ষিতে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত