সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রফেসর মো. গোলাম শাহি আলম বলেছেন, বিয়ানীবাজারের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জমশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার এই বাতিঘর থেকে অনেক আলোকিত মানুষের আবির্ভাব হয়েছে। যারা আজ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। শুধু দেশেই নয়, এই শিক্ষালয়ের জ্ঞানচর্চায় আলোকিত হয়ে অনেক প্রতিভা বিদেশের মাটিতেও সৃজন-সৃষ্টির বিকিরণ ছড়িয়েছেন। এবার এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঘটাতে যাচ্ছে নতুন ইতিহাস। এই প্রথমবারের মত প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন বিনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারা। জমশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও ছাত্র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাত্রা হতে যাচ্ছে এই প্রীতিবন্ধনের অভিনব প্রয়াস।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকুরুস্থ জমশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক পুনর্মিলনী-২০১৭ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক পুনর্মিলনীর আহবায়ক ও জমশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট কাজল কান্তি পুরস্কাস্থের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট সুমন আহমদের সঞ্চালনায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, আল হারামাইন হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, সোবহানীঘাট, সিলেটের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান (নাসির), সিআইপি (এনআরবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুল খালিক, ২নং চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী, অতিরিক্ত পিপি মো. সামছুল ইসলাম এডভোকেট।

প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক পুনর্মিলনী’র সদস্য সচিব মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জমশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুহিত চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, আব্দুল বাছিত চৌধুরী, আব্দুল মুমিত রিমু, নামওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, আতিকুর রহমান তাপাদার (সুয়েদ), মাকছুমা বেগম রিপা প্রমুখ।

শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাশেদ আহমদ ও গীতা পাঠ করেন নৃত্যরঞ্জন দত্ত পুরকায়স্থ। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানে আগত প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দকে পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সম্মানন ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ও অনুষ্ঠান শেষে প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে এক প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
এর আগে পুনর্মিলনী উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।