স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০২০ ১৪:১০

সিলেটে যুব ক্রিকেট দলের অনুশীলন আগস্টে

বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভাল নয়। এরকম অবস্থায় আর যাই হোক, মাঠে ক্রিকেট চর্চা সম্ভব নয়। কিন্তু চরম সত্য হলো, কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে জাতীয় দল, এইচপি, যুব দল (অনূর্ধ্ব-১৯) ও নারী দলের কার্যক্রম শুরুর কথা ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে।

কারণ ধীরে ধীরে ক্রিকেট বিশ্ব সরব হতে শুরু করেছে। কয়েকটি দেশে ক্রিকেট মাঠে ফিরতে শুরু করেছে। ফলে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অস্তিত্ব, অবস্থান ধরে রাখতে এবং সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে হলে অন্তত অনুশীলন না করে উপায় নেই। তা না হলে দিনকে দিন পিছিয়ে পড়তে হবে। সেই বোধ-উপলব্ধি থেকেই জাতীয় দল, এইচপি আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে তৈরি রাখার কথা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বিসিবি।

ভেতরের খবর, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তো কথাই নেই, একটু ভালোর দিকে এগুলেই আগস্ট মাসে তিন দলের অনুশীলন শুরু হয়ে যাবে। এইচপির চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয় ও ক্রিকেট অপারেশনস প্রধান আকরাম খান জাগো নিউজকে ধারণা দিয়েছেন, তারা আগামী মাসেই যথাক্রমে জাতীয় দল ও হাই পারফরমেন্স ইউনিটের অনুশীলন শুরুর চিন্তাভাবনা করছেন। তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সে খবর প্রকাশিতও হয়েছে।

এদিকে সোমবার রাতে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন নতুন তথ্য। তারা খুব শীঘ্রই যুব দলের অনুশীলন শুরুর কথা ভাবছেন।

বলার অপেক্ষা রাখে না, জুনিয়র টাইগাররা এখন বিশ্ব যুব ক্রিকেটে বিশ্ব সেরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে হাত পা গুটিয়ে বেশি দিন বসে থাকার সুযোগ নেই। সে উপলব্ধি থেকে যুবাদের দায়িত্বে থাকা গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি প্রধান জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, তারা আগস্টের মাঝামাঝি যুব দলের অনুশীলন শুরুর কথা ভাবছেন।

তবে ভেন্যু সমস্যার কারণে তা শুরু করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বিস্তারিত জানিয়ে সুজন বলেন, আমরা হয়তো আগস্টের ১৬-১৭ তারিখ থেকে সিলেটে অনুশীলন শুরু করতে পারি। আমরা বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিকেএসপি মনে হয় না পাবো। বিকেএসপি পেলে খুব ভাল হতো।

বিকেএসপি না পাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান জানান, যুব দলের আবাসিক ক্যাম্প করা নিয়ে বিকেএসপির মহা পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি না করেননি। তবে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ আসলে বিকেএসপি তাদের নিজেদের ছাত্র, শিক্ষক আর স্টাফদের করোনামুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। ওখানে প্রায় ১ হাজার মানুষের বাস। নারী, শিশুও আছে। কাজেই বিকেএসপি থেকে এখন কাউকে বের হতে দেয়া হয় না। কারও প্রবেশাধিকারও নেই। ফলে তারা একটু দ্বিধাগ্রস্ত।

‘তাই আমরা বিকল্প ভেন্যু চিন্তা করছি। সিলেট আছে। কক্সবাজারের কথাও ভাবা হচ্ছে। মিরপুরকেও বিবেচনায় রেখেছি। যেটা হয়, যেখানে লকডাউন করতে পারি। এর যেকোনো একটাকে বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি বিকেএসপিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সুজন আরও জানান, ‘কক্সবাজারে এখন দুটি সমস্যা। সেখানে ইনডোর নেই। আর এখন ভর বৃষ্টির মৌসুম। প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে অনুশীলন করা কঠিন। ইনডোর ছাড়া উপায় নেই। সেদিক থেকে সিলেট বেটার অপশন। সিলেটে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সেই আধুনিক ইনডোর আছে। আর অল্প দুরত্বে পর্যটনের হোটেলও আছে। কাজেই হয়তো সিলেটই হতে পারে সম্ভাব্য প্র্যাকটিস ভেন্যু।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত