স্পোর্টস ডেস্ক

০৮ আগস্ট, ২০২০ ১৬:৩৫

নাপোলিকে না হারিয়েও বার্সেলোনা যেভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারে

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কখনই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেনি ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি। এবার সুযোগ এসেছে তাদের, তবে এজন্যে জিততে হবে তাদের এক ম্যাচ। তাও আবার বার্সেলোনার বিপক্ষে, কাম্প নউয়ে।

ঘরের মাঠে বার্সেলোনা বরাবরই অদম্য। সর্বশেষ হেরেছিল তারা বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। তাও আবার ২০১৩ সালে। সে ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে ৩১টি জয় পেয়েছে বার্সা।

নাপোলি কোচ জেনারো গাত্তুসোও জানেন সেটা, ‘ওরা জিতে অভ্যস্ত, আর আমি জানি যারা জিতে অভ্যস্ত তারা সব সময় জিততে চায়। আগামীকাল (আজ) আমাদের এভারেস্টে উঠতে হবে।’

নাপোলির কাজটা কঠিন, সন্দেহ নেই। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে হারাতে পারেনি দলটি। বার্সেলোনাও পেয়েছে মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল। এখন হিসেব–নিকেশ ছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে চাইলে বার্সেলোনাকে হারাতেই হবে তাদের। কাজটা কতটা কঠিন, সেটা পরিসংখ্যানই বলে দেয়।

আজ রাত ১টায় বার্সেলোনাকে না হারিয়েও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া সম্ভব নাপোলির পক্ষে। সে ক্ষেত্রে একের অধিক গোলে ড্র (২-২, ৩-৩) করতে হবে খেলা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার মাঠে প্রতিপক্ষের একাধিক গোল করার রেকর্ডটির বয়সও ৭ বছর পুরোনো। ২০১৩ সালে সেমিফাইনালে বায়ার্নের কাছে ৩ গোল খাওয়ার আগে সে মৌসুমেই গ্রুপে স্পার্তাক মস্কোর কাছে ২ গোল খেয়েছিল বার্সা।

তবে নাপোলির আশা বাড়াতে পারে করোনা বিরতির পর বার্সেলোনার ফর্ম। জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের মাঝপথে মাত্র আড়াই সপ্তাহের মাঝে নিজেদের মাঠে ২ গোল খেয়েছে বার্সেলোনা। অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ওসাসুনার কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেই গিয়েছিলেন মেসিরা।

গাত্তুসো বলছেন, ‘আমরা জানি সামনে কত কঠিন ম্যাচ। আমরা জানি কোন ধরনের দল আমাদের সামনে এবং আমরা জানি ট্যাকটিক ও টেকনিকে আমরা দারুণ পারফরম্যান্স দেখাব। যদিও হয়তো সেটাও যথেষ্ট হবে না। আমরা জানি দারুণ সব বিজয়ীদের মুখোমুখি হচ্ছি। ভালো ফল পেতে চাইলে দারুণ এক ম্যাচ খেলতে হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত