স্পোর্টস ডেস্ক

১৪ আগস্ট, ২০২০ ১২:৫৪

ইতিহাস গড়ার পথে লাইপজিগ

২০০৯ সালে নতুন মালিকানায় যাত্রা শুরু করা লাইপজিগ পঞ্চম বিভাগ থেকে ৯ বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে জার্মানির শীর্ষ লিগে ওঠে। এবার বুন্দেসলিগায় হয়েছে তৃতীয়। চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে প্রথমবার নকআউটে উঠেই সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লাইপজিগ।

পর্তুগালের লিসবনে বৃহস্পতিবার রাতে এক লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। শেষ চারে তারা খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। আগের দিন আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন লাইপজিগের মার্সেল হালস্টেনবার্গ; ছোট ডি-বক্সের সামনে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে উড়িয়ে মারেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।

ত্রয়োদশ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে আতলেতিকো মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকোর নেওয়া জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকা লাইপজিগ এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠলেও আতলেতিকোর রক্ষণ ভাঙাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে লাইপজিগকে এগিয়ে নেন দানি ওলমো। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অরক্ষিত এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

৭১তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে আতলেতিকোকে ম্যাচে ফেরান জোয়াও ফেলিক্স। ডি-বক্সে পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল স্প্যানিশ দলটি।

নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে কপাল পোড়ে আতলেতিকোর। লাইপজিগের জয়সূচক গোলটি করেন টেইলর অ্যাডামস। ডি-বক্সের সামনে থেকে তার নিচু শট আতলেতিকোর এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

বাকি সময়ে ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা করে আতলেতিকো; কিন্তু আর গোলের দেখা পায়নি তিনবারের রানার্সআপরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রথমবারের মতো কোনো জার্মান দলের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিল মাদ্রিদের দলটি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত