স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ আগস্ট, ২০২০ ০৩:৩১

ম্যানসিটিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে লিওঁ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠেছে অলিম্পিক লিওঁ। কোয়ার্টার ফাইনালের ফেভারিট ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। লিসবনে শেষ কোয়ার্টার-ফাইনালে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসি ক্লাবটি।

শুরু থেকে বলের দখল ছিল ম্যানসিটির, কিন্তু গোল করার কাজটুকু ভালোভাবেই করেছে লিওঁ। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণাত্মক শুরু করে সিটি। তবে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি লিওঁ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। ২৪তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই গোল আদায় করে নেয় ফরাসি দলটি।

মাঝমাঠে বল পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে যান কার্ল তোকো একাম্বি। তাকে রুখতে অনেকখানি এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক এদেরসন। ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার ট্যাকলে শট নিতে পারেননি একাম্বি, আলগা বল পেয়ে ২০ গজ দূর থেকে কাছের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন কোত দি ভোয়ার ফরোয়ার্ড ম্যাক্সওয়েল কহনে।

পেপ গুয়ার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউরোপ সেরার মঞ্চে সিটির বিপক্ষে তিন ম্যাচে এই নিয়ে চার গোল করলেন কহনে।

প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের সীমানায় প্রচণ্ড চাপ বাড়ায় সিটি। ৪২তম মিনিটে দারুণ সুযোগও পেয়েছিল তারা; কিন্তু স্টার্লিংয়ের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি।

বিরতির পরও অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে চাপ ধরে রাখে সিটি। ৬৯তম মিনিটে মেলে সাফল্যের দেখা। বাইলাইনে একজনকে কাটিয়ে রাহিম স্টার্লিং বল বাড়ান পেনাল্টি স্পটের কাছে আর প্লেসিং শটে সমতা টানেন ডে ব্রুইনে।

৭৭তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন স্টার্লিং। কিন্তু ছোট ডি-বক্সের ডান দিকে সতীর্থের ক্রসে সাইড ভলি করতে গিয়ে ঠিকমতো বলে পা লাগাতে পারেননি ইংলিশ এই মিডফিল্ডার। দুই মিনিট পর খেলার ধারার বিপরীতে আবারও এগিয়ে যায় লিওঁ।

মাঝমাঠে সতীর্থের থ্রু বল পেয়ে একরকম বিনা বাধায় আক্রমণে উঠে বেশ দূর থেকে নিচু শট নেন দেম্বেলে। অনেকটা এগিয়ে আসা এদেরসনের পায়ে লেগে বল ঠিকানা খুঁজে নেয়।

পরক্ষণেই ফের সমতায় ফিরতে পারতো সিটি। কিন্তু ছোট ডি-বক্সের মুখে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন স্টার্লিং।

৮৭তম মিনিটে এদেরসনের ভুলের সুযোগে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে লিওঁ। সেই সঙ্গে আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায় সিটির।

মাঝমাঠে তাদের থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণে ওঠে লিওঁ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হোসাম আউয়ারের শট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উচিত ছিল এদেরসন; কিন্তু সহজ বল হাতে জমাতে পারলেন না ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। আলগা বল গোলমুখে পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান ৭৫তম মিনিটে বদলি নামা ফরাসি ফরোয়ার্ড দেম্বেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত