স্পোর্টস ডেস্ক

২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০২:০৮

ডিয়েগো ম্যারাডোনা: ‘রেস্ট ইন পিস’

ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন ‘ফুটবল ঈশ্বর’। ৬০ বছর বয়সে বুধবার আর্জেন্টাইন এই তারকা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। কিংবদন্তিকে নিয়ে আরও কজন কিংবদন্তি তাদের শোকপ্রকাশ করেছেন।

খুবই শকিং খবর। এমন একজন বন্ধুকে আজ হারিয়ে ফেললাম। আমার ঈশ্বর তার পরিবারকে শক্তি দিন। আমি নিশ্চিত, একদিন আমরা একসঙ্গে আকাশে খেলব- পেলে

আর্জেন্টিনা থেকে জানানো হয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন। আমার প্রজন্মে তিনি অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সেরা ফুটবলার এবং তর্কযোগ্যভাবে সর্বকালের সেরা- ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার গ্যারি লিনেকার

আমার বন্ধু চলে গেল। ম্যারাডোনা, কিংবদন্তি! বল পায়ে তিনি বিশ্বজয় করেছিলেন, আনন্দ ও অনন্য ব্যক্তিত্বও ছিল। আমি অনেকবারই বলেছি কথাটা, মাঠে যত খেলোয়াড় দেখেছি তাদের মধ্যে ম্যারাডোনাই সেরা- বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিও

আজ আমি বিদায় জানাচ্ছি এক বন্ধুকে এবং সারা বিশ্ব বিদায় জানাচ্ছে এক চিরন্তন প্রতিভাকে। সর্বকালের সেরাদের অন্যতম একজন। একজন অতুলনীয় জাদুকর। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। তবে রেখে গেলেন নিজস্ব ঘরানা এবং সীমাহীন শূন্যস্থান, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। চিরশান্তিতে থাকুন ওস্তাদ। আপনাকে কখনই ভোলা যাবে না- ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

লক্ষ বছর খেললেও ম্যারাডোনার ধারে কাছে পৌঁছাতে পারবো না। তার সমকক্ষে আমি পৌঁছাতেও চাই না। তিনি কিংবদন্তি। যার জন্ম একবারই হয়- আর্জেন্টিনার বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি

ফুটবল পায়ে জিদান যেটা করতে পারেন, ম্যারাডোনা সেটা করতে পারতেন একটা কমলা লেবু দিয়ে- ফ্রান্স ও জুভেন্টাসের সাবেক তারকা মিশেল প্লাতিনি

আসল ম্যারাডোনা কী সেটা তার অনুশীলন দেখলেই বোঝা যেত। চোখে বিশ্বাস করার মতো নয়। তিনি কখনও অনুশীলন ম্যাচে হারেননি- সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার ফ্রান্সিসকো রোমেরো

ম্যারাডোনার মতো কেউ হতে পারবেন না। এমনকি মেসি টানা তিনটি বিশ্বকাপ জিতলেও নয়। সে যদি মাঝমাঠ থেকে বাইসাইকেল কিকে গোল করে তবুও নয়- সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার হেক্টর এনরিকে

সকল আর্জেন্টাইনের কাছে ডিয়েগো একজন ফুটবল ঈশ্বর। তিনি তা থাকবেনও- সাবেক ম্যানইউ ও ম্যানসিটি এবং আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ

আমার সময়ে, আমার প্রজন্মে নিঃসন্দেহে ম্যারাডোনা ছিলেন সেরা। আমি তার থেকে এমন সব জাদু দেখেছি, যা স্বয়ং ঈশ্বরও পারবেন কিনা সন্দেহ। সবসময় তাকে কেউ না কেউ চোখে চোখে রাখত, তার গায়ের সঙ্গে একজন লেগেই থাকতো। তারপরও অসাধারণ জাদু দেখাতেন তিনি- সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা জিকো

যখন আমাদের বিপক্ষে ম্যারাডোনা (১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) দ্বিতীয় গোলটি করলেন, আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। আগে কখনও গোল খাওয়ার পরে কিংবা গোল দেখার পরে ওমন হয়নি। ওমন অসাধারণ গোল করা সত্যিই অসম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে তিনিই তাই ফুটবলের সর্বকালের সেরা- সাবেক বার্সেলোনার ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার

টবলের জন্য দুঃখের দিন। ম্যারাডোনা চলে গেছেন। শান্তিতে থাকুন খেলাটির প্রতিভা- স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস

শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি। আপনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। পুরো পৃথিবীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ- পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে

আপনার মন্তব্য

আলোচিত