সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০১:২৭

জ্বলে উঠলেন মাশরাফি

প্রথম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে লিটন দাস যেভাবে ব্যাট চালালেন আর টাইমিংও হলো, মনে হচ্ছিল, আজ দুমড়েমুচড়ে যাবে জেমকন খুলনার বোলিং। কিন্তু তিন বলের মধ্যে ছক্কা-চারে ১২ রান দেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাই লাগাম টানলেন লিটনের ব্যাটে। তার আগে সৌম্য সরকার, পরে মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও। সব মিলিয়ে টি২০ ক্যারিয়ারসেরা বোলিং- ৩৫ রানে ৫ উইকেট। বল হাতে মাশরাফি জ্বলে ওঠার আগে ব্যাট হাতে খুলনাকে পথ দেখিয়েছেন জহুরুল ইসলাম অমি। ডানহাতি এ ওপেনারের ৫১ বলে খেলা টি২০ সর্বোচ্চ ৮০ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২১০ রানের পুঁজি জমা করে খুলনা। যে পুঁজিকে নিরাপদে আগলে রাখার কাজটি করেছেন পরে মাশরাফি।

দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ও ব্যাটিংয়ে ভর করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনা পেয়েছে ৪৭ রানের বড় জয়। প্রথম কোয়ালিফায়ারের এ জয়ে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপের ফাইনালে উঠে গেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। লিগ পর্বের আট ম্যাচের সাতটিতে জেতা চট্টগ্রাম ফাইনালে জায়গা করার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে আজ, খেলবে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার খুলনার জয়ে বড় ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন প্রথমে জহুরুল। ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সঙ্গী জাকিরের অবদান ছিল মাত্র ১৬, বাকিটা তার। পনেরোতম ওভারে যখন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন, দল ততক্ষণে ১৩২ রানে পৌঁছে গেছে; জহুরুলের রান ৮০। ৫১ বল খেলা ইনিংসটিতে চার ছিল ৫টি, ছয় ৪টি। জহুরুলের গড়ে দিয়ে যাওয়া ভিত্তিকে স্লগ ওভারে কাজে লাগিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। খুলনা অধিনায়ক আউট হওয়ার আগের ৮ বলের মধ্যে ৫টিকেই পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে, ২ চার ৩ ছয়ে করে যান ৩০ রান। সাকিব খেলেন ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংস। টুর্নামেন্টে এটিই তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২১০ রান তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের শুরুটা আশা জাগানিয়াই ছিল।

মাশরাফির প্রথম চার বলের মধ্যে ১২ রান তুলে নেন লিটন। তবে ষষ্ঠ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে সৌম্য ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। চতুর্থ ওভারে মাশরাফির শিকারে পরিণত হন লিটনও, স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মোহাম্মদ মিঠুন। এই জুটি ৪৯ বলে ৭৩ রান তুলেও ফেলে। তবে ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলে মাহমুদুলকে আউট করে দেন মাশরাফি। ২৭ বলে ৩১ রান করা এই তরুণ ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দেন ইমরুলের হাতে। মূলত ১২তম ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় উইকেটের পতনের মধ্য দিয়েই ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন আপ। অধিনায়ক মিঠুন ফিফটি করলেও দলের কাজে লাগেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত