সিলেটটুডে ডেস্ক:

০৭ আগস্ট, ২০২১ ২২:১০

অস্ট্রেলিয়ার স্বস্তির জয়

ছবি: ফেকাস বাংলা

টানা তিন ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় করে পরের ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ১০৫ রানের টার্গেটে ৬ বল অক্ষত রেখে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে সফরকারীরা। এতে চলতি সফরে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো ওয়েড-মার্শরা।

শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের ইনিংস থামে মাত্র ১০৪ রানে। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। এদিন কেউই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ১১৪ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের নবম সর্বনিম্ন সংগ্রহ। জবাবে ১ ওভার বাকি থাকতে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।

ছোট পূঁজিতেও ব্যাটিংয়ে নেমে খুব ভালো শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়ানরা। মেহেদি হাসানের বলে প্রথম ওভারেই ফেরেন অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ইনিংসের চতুর্থ ডেলিভারিতে নাসুমের বলে ২ রান করে বোল্ড হন ওয়েড।

ম্যাথু ওয়েডকে হারানোর ঝালটা সাকিবের ওপর দিয়ে উঠায় অস্ট্রেলিয়া। সাকিবের করা চতুর্থ ওভার থেকে ৫টি ছক্কা সহ ৩০ রান তুলে নেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। এর পরের ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ওপর আঘাত হানেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে বেন ম্যাকডারমটকে আউট করেন নাসুম। পরের ওভারেই সাকিবকে ৫ ছক্কা হাঁকানো ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৫ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন ক্রিস্টিয়ান।

পরের ১৮ রান যোগ করতেই অজিরা হারায় তাদের ৫ উইকেট। ক্রিস্টিয়ানকে ফেরানোর পরে হেনরিকসকে রান আউটের ফাঁদে ফেলে সাকিব। পরে অ্যালেক্স ক্যারিকেও ফেরান ফিজ। শেষে মার্শ ফিরলে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখে মোস্তাফিজ-মেহেদি।

শেষের দিকে অ্যাগারের ধৈর্যশীল ২৭ রানে জয়ের খুব কাছে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেখানে গুরুপ্তপূর্ণ অ্যাগারকে ফেরান শরিফুল। তবে অলরাউন্ডার অ্যাশটন টার্নার ও অ্যান্ড্রু টাইয়ে সিরিজে প্রথম জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। আগের তিন ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন সৌম্য। চার ম্যাচে সৌম্য সরকারের স্কোর যথাক্রমে ২, ০, ২, ৮। সৌম্যের রান খরায় ভুগতে হল বাংলাদেশকেও। তৃতীয় ওভারে টার্নারকে ছয় মারলেও বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। হ্যাজলউডের শর্ট লেন্থের বলে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন। ১০ বলে মাত্র ৮ রান করেন সৌম্য। চার ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।

শুরুতেই জীবন পাওয়া সাকিব দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারেননি। ২৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন তিনি। সিরিজ জয়ের ম্যাচে ম্যাচসেরা ইনিংস খেললেও এদিন খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। সোয়েপসনের ঘূর্ণিতে সুইপ করতে গিয়ে এলবির শিকার হন তিনি। এই সিরিজে মাহমুদউল্লাহর এটি দ্বিতীয় শূন্য। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরের বলেই ডাক মারেন নুরুল। শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, এতে রিভিউয়ের দ্বারস্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। পরে রিভিউ সোহানের বিপক্ষে যায়। স্কোরকার্ডে ৪৮ থেকে ৫১ রান আসতেই বাংলাদেশ হারায় তিন উইকেট।

মাহমুদউল্লাহ-সোহানের জোড়া উইকেট নেওয়ার পর নাঈমকেও ফেরান মিচেল সোয়েপসন। প্রথম তিন ইনিংসে ৩০, ৯ ও ১ রান করা নাঈম আজ করেছেন ২৮ রান, তবে খেলেছেন ৩৬ বল।

পরের ওভারে ১৭ বলে ২০ রান করা আফিফ অ্যাশটন অ্যাগারকে উইকেট দিয়ে আসেন। তরুণ প্রতিভাবান শামীম হোসেনও কিছু করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩ রানে অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দেন।

তবে শেষদিকে এসে টাইগারদের ১০০ রানের কোটা পূরণ করতে সাহায্য করেন মেহেদী হাসান। তিনি ১৬ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে টাইয়ের শিকার হন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে টাইয়ের তৃতীয় শিকার হন শরিফুল ইসলাম।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সোয়েপসন ও অ্যান্ড্রু টাই। হ্যাজলউডের শিকার দুই উইকেট। অ্যাগারের ঝুলিতে এক উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত