স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৪:০৮

আফগান নারী ফুটবলারদের আশ্রয় দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া

তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দেশটির অনেক নারী খেলোয়াড়ই লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। ক্যারিয়ার তো বটেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা বিরাজ করছে তাদের মনে। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে ৫০ জন আফগান নারী ফুটবলারকে আশ্রয় দিল অস্ট্রেলিয়া। অজি সংবাদমাধ্যম এবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই ফুটবলারদের নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এজন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা ও পেশাদার ফুটবলারদের সংস্থা ফিফ প্রো। এক বিবৃতিতে ফিফা প্রো লেখে, ‘এই তরুণ অ্যাথলেটরা বিপদে ছিল। তাদেরই একজন সঙ্গী হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করব, ঐ অ্যাথলেটরা যা সাহায্য চায় তারা যেন সেটা পূরণ করে। এখনো আফগানিস্তানে বেশ কয়েকজন ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা উচিত।’

সরিয়ে আনার এই ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে মনে করছেন আফগান নারী ফুটবলের সাবেক অধিনায়ক খালিদা পোপাল, ‘এই দুর্ভোগের সময় নারী ফুটবলাররা সাহসী ও শক্ত মানসিকতা দেখিয়েছে। আশা করি, আফগানিস্তানের বাইরে উন্নত জীবন গড়তে পারবে তারা। নারী ফুটবল একটি পরিবার এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সবাই যেন নিরাপদ থাকে।’

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আসার পর অস্ট্রেলিয়া তাদের দূতাবাস থেকে নিজেদের নাগরিক ও তাদের প্রাক্তন কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশ পালানো তিন হাজার আফগানকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

তালেবানদের কাবুল নিয়ন্ত্রণের পর অনেক আফগান ক্রীড়াবিদ আত্মগোপনে চলে যান। কয়েক দিন আগে তালেবান নারী ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেদের দেওয়া পোস্টসহ ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু, সাহসী নারীরা তা না করে ফুটবল সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন।

১৯৯০ দশকের শেষের দিকে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে সেখানে মেয়েদের ১০ বছর বয়সের পর স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত রাখে এবং তাদের বাল্যবিবাহে বাধ্য করা হয়। তাদের শাসনাধীনে কোনো নারী একা বাড়ি থেকে বের হতে পারতেন না এবং সব নারীকে বোরকা পরতে বাধ্য করা হয়।

২০০৭ সালে আফগানিস্তানে নারী ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়। এর আগে ২০০১ সালে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের পর আফগান নারীরা কিছুটা স্বাধীন জীবন যাপনের সুযোগ পায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত