ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২২:৫৫

কথা রাখলেন গেইল, মারলেন নয়-নয়টি ছয়

বিপিএলে খেলতে আসার আগেই বলেছিলেন ছক্কা মারতেই ঢাকায় আসছেন। প্রথম দুই ম্যাচে কেবল একটি ছক্কা মেরে করেছিলেন সাকুল্যে ১৬ রান। নামের ভারে যা কেবল হতাশাজনক নয়, বেমানানও বটে। তবে তৃতীয় ম্যাচে আর নীরব থাকল না বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের ব্যাট। গুনে গুনে মারলেন ৯টি ছক্কা, যেগুলো ছক্কা হয়নি সেরকম আরও ৬টি চারে ৪৭ বলে করলেন ৯২। তাতেই চট্টগ্রামের করা ১৩৫ রানের পুঁজি ১৫ ওভারেই পেরিয়ে গেল বরিশাল বুলস। তাই তাণ্ডবের পরেও গেইল পুড়লেন সেঞ্চুরি না পাবার আক্ষেপে।

তবে আক্ষেপ নেই দর্শকদের। গেইলের ব্যাটিং দেখতেই টিকিট কাটা ক্রিকেট প্রেমীদের পয়সা উশুল। ৮ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে বুলসদের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ছিলেন ১৯ রানে অপরাজিত।

চোটের জন্য গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া চিটাগংকে নেতৃত্ব দেন দিলশান।

তামিমের জায়গায় দিলশানের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন বিজয়। ৫.৫ ওভার স্থায়ী ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দিলশান-এনামুল। আল আমিন হোসেনকে পরপর দুই বলে বিশাল দুই ছক্কা হাঁকিয়ে সেই ওভারেই ফিরে যান দিলশান (২৮)।

তবে এরপর কেউই তেমন আগ্রাসী হতে না পারস্র ৭ উইকেটে ১৩৫ রানেই থামে চট্টগ্রামের গাড়ি। সামি ও আল-আমিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত