সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:২১

সার্বিয়া-ক্যামেরুন ম্যাচে ৬ গোল, তবু জিততে পারেনি কেউ

বিশ্বকাপে ক্যামেরুন ও সার্বিয়া দুই দলের সামনেই মিশন ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার। সমীকরণটা এমন ছিল যে শেষ ১৬ নিশ্চিতে জয়ের বিকল্প নেই কারোই।

বাঁচা-মরার সেই ম্যাচে সমীকরণ মেলানো সম্ভব হয়নি দুই দলের পক্ষে। ড্র করে বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের ছিটকে যাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে সার্বিয়া ও ক্যামেরুন।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ড্র করেছে ৩-৩ গোলে। শুরুতে লিড নিলেও প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের জোড়া গোলে ব্যাকফুটে চলে যায় ক্যামেরুন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও এক গোল হজম করে তারা।

সেখান থেকে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে করা ব্যাক টু ব্যাক দুই গোলে সমতায় ফেরে ক্যামেরুন। একই সঙ্গে স্তিমিত করে দেয় সার্বিয়ার জয়ের স্বপ্নও।

বল দখলে ম্যাচের পুরোটা সময় প্রতিপত্তি বজায় রেখে খেলা সার্বিয়া ম্যাচের শুরু থেকে চেপে ধরে ক্যামেরুনকে। ম্যাচের প্রথম ১৭ মিনিটেই তারা তিনবার নিশ্চিত গোলের আক্রমণ চালায়। আলেক্সান্ডার মিতরোভিচের নেয়া তিনটি শটই ব্যর্থ হয়।

ম্যাচে সার্বিয়ার প্রাধান্য থাকলেও ২৯ মিনিটে লিড নেয় ক্যামেরুন। আফ্রিকানরা এগিয়ে যায় জন-চার্লস ক্যাসটেলেট্টোর গোলে। কর্নার থেকে দ্বিতীয় বারে বল পেয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্ট্রাইকার।

লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। সার্বিয়ান ঝড়ে প্রথমার্ধেই দিশেহারা হয়ে যেতে হয় তাদের।

ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে স্ত্রাহিনিয়া পাবলোভিচ দলকে এনে দেন সমতা। দুই মিনিট পর সার্বিয়া লিড নেয় মিলিনকোভিচ সাভিচের গোলের সুবাদে। আর তাতে এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সার্বিয়া।

বিরতি থেকে ফিরে সার্বিয়ান নম্বর নাইন মিত্রোভিচ ব্যবধান বাড়ান। প্রথমার্ধে তিন সুযোগ হাতছাড়া করা সার্বিয়ান এই স্ট্রাইকার এবারে আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি। জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন তিনি।

এরপর ৬৩ আর ৬৬ মিনিটে ভিনসেন্ট আবুবকর ও এরিক ম্যাক্সিম-চুপো মতিংয়ের জোড়া আঘাতে সমতায় ফেরে ক্যামেরুন। আর তাতে জয়ের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় সার্বিয়ার।

এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় বেশ কিছু আক্রমণ চালালেও জালের দেখা মেলেনি কারোই। যে কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত