স্পোর্টস ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৩

ওয়ানডেতে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ইশান

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ভারতীয় তরুণ ওপেনার ইশান কিষাণ। এই ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে কোন সেঞ্চুরি ছিল না ইশান কিশানের, ফিফটি ছিল তিনটি। শেষ ম্যাচে ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান এই ব্যাটার। নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ইশান নিয়ে গেলেন ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে। সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করলেন তিনি। বিস্ফোরক ইনিংসে ভেঙে দিলেন ক্রিস গেইলের রেকর্ড।

শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করছেন ভারতের বাঁহাতি ব্যাটার। ওয়ানডে ইতিহাসে ৯ ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম।  ২০১৪ সালে ক্যানেবেরাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকাকে  এবার তাকে ছাপিয়ে গেলেন ভারতের ২৪ পেরুনো তারকা।

ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলকে যেতে ২২ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৯ ছক্কা। ওপেন করতে নেমে প্রথম ৪৯ বলে করেছিলেন ফিফটি। পরের ৩৬ বল খেলে তুলেন আরও পঞ্চাশ। ৮৫ বলে সেঞ্চুরির পর তার ব্যাট যেন আরও চওড়া।  পরের একশো রান নিয়েছেন স্রেফ ৪১ বল খেলে। আগের ৮ ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬ জন ব্যাটার। বাকি সবাই অনেক পরিণত হয়ে এমন কীর্তি গড়লেও ইশান এদিক থেকেও গড়লেন রেকর্ড। নিজের কেবল ১০ ওয়ানডে ইনিংসেও পেয়ে গেলেন এমন অর্জনের দেখা।

ডাবল সেঞ্চুরির পর অবশেষে তাকে থামাতে পারে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলেও দেদারসে পেটাচ্ছিলেন। ৩৬তম ওভারে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মারার পর পুল করে মারেন ছক্কা। সোজা আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় একদম বাউন্ডারি লাইনে ধরা দেন লিটন দাসের হাতে। ১৩১ বলের ইনিংসে ২৫৪ চার আর ১০ ছক্কায় ইশান থামেন ২১০ রানে।

এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে দিয়ে পঞ্চম ওভারেই উইকেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউতে ফিরে যান শিখর ধাওয়ান। ১৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পরই বদলে যায় ম্যাচের ছবি। ম্যাচে দাপট প্রতিষ্ঠা করে ভারত।

এক রানে লিটনের ব্যর্থতায় জীবন পাওয়া বিরাট কোহলির সঙ্গে জমে যায় ইশানের জুটি।  জীবন পেয়ে পরের বলেই চার মেরে কোহলি বুঝিয়ে দেন সুযোগটা এবার কাজে লাগাতে চান তিনি।

আরেক পাশ আগ্রাসী ইশান তুলেন ঝড়। ফ্লিক, পুল, ড্রাইভের পসরা মেলে ধরেন তিনি। ইশানকে থামানোর কোন উপায় পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। সাকিবের আল হাসানের বাঁহাতি স্পিন হোক কিংবা মিরাজের অফ স্পিন। তার সামনে পড়লে বলগুলোর ঠিকানা হচ্ছিল গ্যালারিতে।

ইবাদত, তাসকিন, মোস্তাফিজের পেসেও অনায়াসে বল সীমানা ছাড়া করে ফুঁসছিলেন ইশান। চোখের পলকে স্বাগতিকদের হতাশায় ডুবিয়ে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিতে থাকেন এই তরুণ।

ইশানের বিস্ফোরণে জুটিতেও হয়েছে রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ১৯০ বলে দুজনের জুটিতে আসে ২৯০ রান। যাতে ১৯৯ রানই ইশানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত