স্পোর্টস ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৪৬

বিশ্বকাপে ফ্রান্সের যত ফাইনাল

কাতারের দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২ তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। দুই দলই বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর থেকে খেলে আসছে।

১৯৩০ সালে প্রথম আসরে আর্জেন্টিনা ফাইনালে খেলে রানার্সআপ হলেও ফ্রান্স হয়েছিল সপ্তম। বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৮ বছর ১৯৯৮ সালে তারা প্রথম খেলে ফাইনাল। আসর বসেছিল নিজেদের মাটিতেই। প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল ব্রাজিলকে।
ফ্রান্স দলে তখন জিনেদিন জিদানের মতো এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার দ্যুতিতে ফুটবল বিশ্ব মোহিত। ফ্রান্সকে জিদান শুধু ফাইনালে নিয়ে আসা পর্যন্তই থেমে থাকেননি । ৩-০ গোলে জেতার ম্যাচে প্রথম দুটি গোলই তার। পরের গোলটি করেন প্যাটিট।

ফ্রান্স এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যে ফ্রান্সকে প্রথম ফাইনাল খেলার জন্য ৬৮ বছরের লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে, সেই ফ্রান্সকে দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হয় আট বছর।

২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত আসরে ফ্রান্স ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল ইতালিকে। দলে ছিলেন সেই জিদানই। কিন্তু এবার আর ফাইনালে ফ্রান্স জিততে পারেনি। তাদের নায়ক জিনেদিন জিদান ঘটিয়ে ফেলেন ঢুস-কাণ্ড। মাথা দিয়ে ইতালির একজন খেলোয়াড়কে ঢুস মেরে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ১১০ মিনিটে। ফ্রান্স হেরেছিল অবশ্য টাইব্রেকারের ৫-৩ গোলে।

নির্ধারিত সময় খেলা এক-এক গোলে ড্র ছিল। প্রথম গোলটি করেছিল ফ্রান্স ।পেনাল্টি থেকে তাদের হয়ে সেই গোলটি উপহার দিয়েছিলেন জিদানই। ১৯ মিনিটে ইতালি সেই গোল পরিশোধ করে মাটেরাজির মাধ্যমে।

ফ্রান্স তৃতীয়বার ফাইনালে খেলে ১২ বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপে। প্রতিপক্ষ ছিল ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়ার ছিল প্রথম ফাইনাল ।

ফাইনালে অবশ্য তারা ফ্রান্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। হেরেছিল ৪-২ গোলে। ফ্রান্সের হয়ে একে একে চারটি গোল করেছিলেন গ্রিজম্যান, পগবা ও এমবাপে। অপর গোলটি ছিল আত্মঘাতী ক্রোয়েশিয়ার মানডজুকিচ ফাইনালের প্রথম গোলটি নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে দুটি গোল পরিশোধ করেছিলেন প্যারাসিক ও আত্মঘাতী গোল করা সেই মানডজুকিচ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত