স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:১২

মেসিকে সর্বোচ্চ সম্মান জানালো কাতার

কাতার বিশ্বকাপের অনেক কিছুই আগের আয়োজনের তুলনায় ভিন্ন রকম। চ্যাম্পিয়ন মেসিদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার পর দেশটির আমির মেসিকে পরিয়ে দিলেন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক পোশাক। এমনটিও আগের আয়োজনগুলোতে দেখা যায়নি কখনও।

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে টাইব্রেকে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর লাতিন শক্তি আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের হাতে বিশ্বসেরার ট্রফি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সেটি দেয়ার আগে কাতারের আমির মেসির গায়ে চাপান তাদের পোশাক, যেটি পরিচিত বিশত নামে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জার্সির বাইরে অন্য কোনো ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে কোনো দল। আর সেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন ফুটবল জগতের সুপার স্টার লিওনেল মেসি। পরে অবশ্য সেই বিশত খুলে তিন তারকাসহ নতুন জার্সি পরেই মরুর বুকে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেন মেসি।

মেসিকে এই পোশাক পরানো নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তিও। কেউ বলছেন, এটা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, যা বিশ্বকাপের ট্রফি বিতরণের সঙ্গে বেমানান, কেউ চেষ্টা করছেন বিষয়টি সম্পর্কে জানার।

আরব বিশ্বের পুরুষদের পোশাকের একটি ঐতিহ্যবাহী আইটেম এ পোশাক। বিশেষ আয়োজন এবং বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এটি পরেন তারা। কারও গায়ে তা চরিয়ে দেয়ার মানে হলো ওই ব্যাক্তিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া। এটি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ একটি পোশাক।

মেসিকে সেই পোশাক পরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ফুটবলার জামাল ভুইয়া টুইট বার্তায় লেখেন, ‘যখন একটি দেশের আমির আক্ষরিক অর্থে আপনাকে বিশত উপহার দেয় এবং নিজের হাতে আপনাকে পরিয়ে দেন; তার মানে হলো এটি সেই ব্যক্তিকে দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান। যা কাতারি উপায়ে করা হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।’

অবশ্য এটাও ঠিক যে, গত এক মাসের আয়োজনে ফুটবলকে সামনে রেখে কাতারের যে চেষ্টা, তার বাইরে ছিল না ধর্মও। তারা ইসলামকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে বিদেশিদের কাছে। যদিও শেষের আয়োজনে এই পোশাকের সঙ্গে তার ছিল না কোনো সম্পর্ক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত