স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:৩৬

সিলেট স্ট্রাইকার্সের পথচলার সঙ্গী আইপিডিসি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রতি আসরেই অংশ নেয় সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। অনেকবারই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা বদলেছে, কিন্তু তাদের ভাগ্য বদলায়নি কোনোবারই। বিপিএলের কোনো আসরেই বলার মতো পারফরম্যান্স করতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়কত্বে নতুন শুরুর আশায় সিলেট স্ট্রাইকার্স নামের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন পথচলায় তাদের সঙ্গী হয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। সিলেটের গোল্ড স্পন্সর হয়েছে তারা (জার্সির পেছনে তাদের লোগো থাকবে)। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সিলেট-আইপিডিসির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম, সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানায় থাকা ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল বিন ইউসুফ, ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরীসহ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর আইপিডিসির প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনের স্থানীয় সর্ববৃহৎ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং আমাদের দল নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী। দলে অসংখ্য প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে এবং মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে আমরা ভক্তদের চমৎকার কিছু উপহার দিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।'

ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে দেখে সিলেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা জানান মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখানে নিয়ে আসতে যে নিঃস্বার্থ যে ভূমিকা, সেটা সম্ভব হয়ছে মাশরাফির দেশের ও ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কারণে।'

'ভালো ক্রিকেটার থাকতে পারে আরও, কিন্তু নিবেদন দেখিয়ে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে মাশরাফির মতো মানুষ হয়তো দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আর নেই। এটাই প্রধান কারণ হয়তো সিলেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার, তবে একমাত্র কারণ নয়। আমরা ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে চাই। সিলেটের সঙ্গে শুরুটা হলো, ভবিষ্যতে আরও অনেক কাজেই ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার পরিকল্পনা আছে আমাদের।' যোগ করেন তিনি।

ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী জানান, বিপিএলে অংশ নেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে তাদের। তিনি বলেন, 'মাশরাফি যেখানে, আইপিডিসি সেখানে। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য বিপিএল তেমন মঞ্চ নয়, এটা সত্য। তবে এবার তিন বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় ভিন্ন কিছুর আশা দেখছি। ইতোমধ্যে আমরা পেসার হান্টের একটা প্রোগ্রাম করেছি। ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করার পরিকল্পনা আছে আমাদের, ভবিষ্যতে জানাবো।'

৬ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিপিএল। দেশের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে জমজমাট আসরটিতে এবার সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নিচ্ছে। প্রতিবারের মতোই দেশের তিনটি ভেন্যুতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যুগুলো হচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত