স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:০৯

সিলেটে জয়ে ফিরল সিলেট স্ট্রাইকার্স

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে হোম গ্রাউন্ডে এসে প্রথম ম্যাচে হতাশ করা সিলেট স্ট্রাইকার্স দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল। নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। দুই ওভার হাতে রেখে সিলেটের জয় ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে উইকেটে ৭ জিতেছে স্বাগতিকরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে চট্টগ্রাম। জবাবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ১২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে জয় নিশ্চিত করে।

চলমান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। বাঁহাতি ওপেনার ৪৪ বল মোকাবিলায় মারেন ৬ চার ও ২ ছক্কা। রানখরা কাটানোর আভাস দেওয়া অভিজ্ঞ মুশফিক ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের বার্ল শেষ পর্যন্ত টিকতে না পারলেও জয় মুঠোয় এনে দিয়ে যান। প্রতিপক্ষের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ৪১ রান তিনি করেন কেবল ১৬ বলে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছক্কা।

নয় ম্যাচে সিলেটের এটি সপ্তম জয়। তাদের পয়েন্ট ১৪। নিজেদের ভেন্যুতে আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছিল তারা। দুইয়ে নেমে যাওয়া বরিশালের পয়েন্ট আট ম্যাচে ১২। নয় ম্যাচে সপ্তম হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়া চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৪।

প্রথম বলেই উসমান খানকে বিদায় করেন মাশরাফি। পয়েন্টে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন জাকির হাসান। তবে সিলেটের এই উল্লাস স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের বড় জুটি গড়েন মারুফ ও আফিফ হোসেন।

মোহাম্মদ আমিরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন ওপেনার মারুফ। সেজন্য তার লাগে ৩৬ বল। ওই ওভারেই ভাঙে জুটি। এরপর হয় ছন্দপতন। ৯ রানে পড়ে যায় চট্টগ্রামের ৪ উইকেট।

আমিরের বলে এলবিডব্লিউ হন আফিফ। রিভিউ নিলেও কাজ হয়নি। ২৭ বলে ৩৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরের ওভারে জোড়া শিকার ধরেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। মারুফ ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫২ রান করে ক্যাচ দেন। ম্যাক্স ও'ডাউড বোল্ড হয়ে ফেরেন দ্রুত। কার্টিস ক্যাম্পার কাটা পড়েন রানআউটে।

৯৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শক্ত ভিত নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে চট্টগ্রাম। সেই বিপাকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শুভাগত। পেসার থিসারা পেরেরাকে চার, ছয় ও ছয় মেরে শুরু হয় তার আগ্রাসন।

আরেকটি রানআউটে ইরফান শুক্কুর বিদায় নিলেও শুভাগতর তাণ্ডব চলতে থাকে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রান যোগ করেন তিনি। শেষ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবকে ছক্কা মেরে ফিফটিতে যান শুভাগত। ২৯ বলে ৫৪ রানে তিনি অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা।

ইমাদ ২ উইকেট নেন ২৩ রানে। চার ওভারে তানজিমের খরচা ৫২ রান।

সিলেট স্ট্রাইকার ৯ ম্যাচে সাত জয় পাওয়ায় তাদের শেষ চার একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাদের ম্যাচ বাকি আছে তিনটি। ওই তিন ম্যাচে হারলে এবং সাত ম্যাচে দুই জয় পাওয়া খুলনা টাইগার্স তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচেই জিতলে কেবল মাশরাফিদের বিদায়ের শঙ্কা জাগবে। এরপরও থাকবে নানান হিসাব-নিকাশ। কারণ সিলেটের নেট রান রেট +০.৮০৭। অন্যদিকে খুলনার -০.২০৮। অন্যদিকে নয় ম্যাচে মাত্র দুই জয় পাওয়া চট্টগ্রামের ও আট ম্যাচে দুই জয় পাওয়ায় ঢাকা সামনে সিলেটকে ধরার সুযোগ নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত