স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৪৫

বাংলাদেশ ৩১০, স্বস্তিতে নেই নিউ জিল্যান্ডও

সিলেট টেস্ট

দিনের প্রথম বলেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। আগের দিনের ৯ উইকেটে ৩১০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে শিকার হয়েছেন শরীফুল ইসলাম।

স্ট্যাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যর্থ হন শরীফুল। বল লাগে তার প্যাডে, কিউইদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সফল হয় সফরকারীরা। শরীফুল করেছেন ১৩ রান। ৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন তাইজুল ইসলাম।

ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও টম লাথাম। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান তাদের। তবে ড্রিংকস বিরতি শেষে বিপদে পড়েছে কিউইরা। ৮ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। লাথামের ২১ রানের বিপরীতে ১২ রানে ফিরেছেন কনওয়ে। একটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার তাইজুল ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

ভালো স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিয়েও প্রথম ইনিংসের শেষটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। ১৮০ রান পর্যন্ত ২ উইকেট ছিল বাংলাদেশের। সেই দুটি উইকেটও পড়েছিল গতকাল প্রথম সেশনে। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিক থেকে খেই হারায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং অর্ডার। শেষ ১৩০ রানে হারিয়েছে বাকি ৮ উইকেট। ভালো-মন্দের প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় খেলেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস।

দারুণ শুরুতে ৪০০ রানের ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই পথে বড় বাধা হয়েছেন ফিলিপস। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে বল করেছেন প্রথমবার। ১৬ ওভারে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট—ফেরান শান্ত, মুমিনুল হক, অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ও নুরুল হাসানকে। জুটি একটু বড় হলে ব্রেক থ্রু দিয়েছেন, কখনো জুটি বড় করার সুযোগই দেননি। অথচ শুরুটা কী দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশের। প্রত্যাশামতো পেয়েছিল ব্যাটিং। দুই ওপেনার জয় ও জাকির হাসান নতুন বলে সাউদি ও কাইল জেমিসনকে সাবলীলভাবেই খেলছিলেন। পেসাররা যখন সুবিধা করতে পারছিলেন না, সপ্তম ওভারেই বোলিং আক্রমণে উপমহাদেশে কিউইদের স্পিন স্পেশালিস্ট এজাজ প্যাটেলকে নিয়ে এলেন সাউদি। প্যাটেল ক্যারিয়ারের ১৪ টেস্টের ১২টি খেলেছেন উপমহাদেশে।

একটু সময় লাগলেও নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন প্যাটেলই। দিনের ১৩তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান জাকিরকে (১২)। ৩ নম্বরে নেমে প্যাটেলকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন শান্ত। কিন্তু অতি আগ্রাসী হয়ে ৩৭ রানেই ফেরেন ফিলিপসের শিকার হয়ে। ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও ২টি চারের বাউন্ডারি। সবগুলো বাউন্ডারি পরপর প্যাটেলকে তিন ওভারে মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পাঁচ দিনের ম্যাচ, সময়-সুযোগ সবই ছিল। আগ্রাসী হওয়ার মাঝেও একটু সাবধানী ব্যাটিং করার কথা যেন ভুলেই গেলেন শান্ত। জয়ের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি ভাঙে তাঁর।

তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল-জয়ের ৮৮ রানের জুটিও ভাঙেন ফিলপিস। অপ্রয়োজনীয় কাট শট খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দেন মুমিনুল (৩৭)। তারপর ইশ সোদি ফেরান জয়কে। দেশের মাঠে প্রথম সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে জয়ও ফেরেন ১৬৬ বলে ৮৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। মেরেছেন ১১টি চার। এরপর কেউ আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। মুশফিকুর রহিম ১২, মেহেদী হাসান মিরাজ ২০, নুরুল হাসান সোহান ২৯, দিপু ২৪ ও নাইম হাসান ফিরেছেন ১৬ রান করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত