ক্রীড়া প্রতিবেদক

১১ মার্চ, ২০১৬ ১২:১২

বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ: ১৪ মার্চ চেন্নাইয়ে তাসকিন-সানির পরীক্ষা

নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ম্যাচের পর তাসকিন আহমেদ ও আরাফান সানির বোলিং  অ্যাকশন নিয়ে মাঠের দুই আম্পায়ার সন্দেহের অভিযোগ করার পর আইসিসির বেঁধে দেয়া ৭ দিনের ময়সীমার মধ্যে আগামী ১৪ মার্চ চেন্নাই ল্যাভে পরীক্ষা হবে দুই টাইগার বোলারের।

আইসিসি অভিযোগের পর দিনই দুই বোলারকে চেন্নাই পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে আপত্তি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দল জানায়- এই মুহুর্তে মুস্তাফিজ ইনজুরিতে, তাসকিন-সানি না থাকলে একাদশ নামানোই কঠিন হবে। আপত্তি আমলে নিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হবার পরদিনই চেইন্নাইতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে তাসকিন-সানিকে। প্রথম পর্ব পেরিয়ে সুপার টেনে উঠতে পারলে মূলপর্বে বাংলাদেশের  প্রথম ম্যাচ ১৬ মার্চ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।  

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার।


এদিকে টাইগার দুই বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে হঠাৎ আইসিসির সন্দেহের তৎপরতায় ক্ষোভে ফুঁসছে সমর্থকরা।  দুই আম্পায়ারের সন্দেহের রিপোর্ট দেয়ার পরই আইসিসির কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

তিনি এই ধরনের রিপোর্টের পর বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছেন , "যদি তারা আমার দলের এই দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ জানায় তবে আমি তো তাদের অ্যাকশন নিয়ে বরং সন্দিহান হব, কারণ তাসকিন ও সানি গত ১ বছর ধরে এভাবেই বল করে আসছে। এতদিন কেউ কিছু খুঁজে পেল না আর এখন বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সন্দেহ কেন?"

হাথুরুসিংহে উল্লেখ করেন, নেদারল্যান্ড ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন রড টাকার ও এস রবি। রড টাকার গত জুনে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজেও আম্পায়ার ছিলেন। কই তখন তো তিনি কিছু বললেন না?



বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ন সময়ে এমন হেনস্থার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন। অনেকের অভিযোগ ভারতের জাসপ্রিন্ত বোমরাহ ও রবীচন্দ্র অশ্বিন তাসকিন-সানির চেয়ে হাত অনেক বাঁকিয়ে বল করলেও কখনো কেন সন্দেহের চোখে পড়েন না? আইসিসিকে ভারতীয় বোর্ডের পুতুল বলেও আখ্যা দিয়েছেন তারা। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত