নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মার্চ, ২০১৫ ১৬:০৫

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পেন্টা জয়

আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া । পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপ জেতায় ক্রিকেটে প্রথম কোন দল হিসেবে পেন্টা জয়ের স্বাদ নিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক উঁচুতে উঠে গেল তারা । ফুটবলে ব্রাজিলের রয়েছে এমন কৃতিত্ব । ক্রিকেটে এবার তা করে দেখাল ব্রাজিলের মতই হলুদ জার্সির ক্যাঙ্গারুরা ।
একপেশে ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতে প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিয়ে কাপ জিতল মাইকেল ক্লার্কের দল ।  দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন জীবনের শেষ ওয়ানডে খেলতে নামা মাইকেল ক্লার্ক ।  জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থেকে ৭২ বলে ৭৪ রান করে যখন ক্লার্ক আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন এমসিজির ৯৩ হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে সম্মান জানাচ্ছিলেন তাকে । স্টিভেন স্মিথ অর্ধশত করে অবশ্য দলকে জিতেই মাঠ ছেড়েছেন । এছাড়া ওয়ার্নার করেছেন ৪৫ রান । 
খেলার আগে যেকোন বিচার বিশ্লেষনের পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়াই তবে এবারের টুর্নামেন্টে ফাইনালের আগ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা দল নিউজিল্যান্ড যে এমন অসহায়ভাবে আত্মসমর্পন করবে তা বোধহয় কেউই ভাবে নি ।  পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট মার্ঠ মেলবোর্নের গ্যালারীতে উপস্থিত ৯০ হাজারেরও বেশি দর্শকের জমজমাট একটি ক্রিকেট লড়াইয়ের প্রত্যাশা পূরন হল না । তবে অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকরা তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না । চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিল আর সেটা এমন দাপটের সাথে হওয়াতে যেন আরও খুশি তারা ।

নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া মাত্র ১৮৪ রানের মামুলি টার্গেটে তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান আরন ফিঞ্চ । তখন অতি আশাবাদী কিউই সমর্থকরা ১৯৮৩ সালের ফাইনালের পরিসংখ্যান তোলে এনে অঘটনের স্বপ্ন দেখছিলেন । সেবার শক্তিশালী ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সাথে মাত্র ১৮৩ রানে অলআউট হয়েও ভারত প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল । কিন্তু ১৯৮৩ তো আর ২০১৫ নয় । হলোও না এমনটা । শতভাগ পেশাদারি ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়ানরা ফের বিশ্ব ক্রিকেটের সেরার আসনে বসল । ১৯৯৯ সাল থেকে টানা চ্যাম্পিয়ন হতে থাকা অস্ট্রেলিয়ানরা ২০১১ বিশ্বকাপে জয়ে যেন বিরতী দিয়েছিল । ফের শুরু করল মিশন । প্রায় ১৭ ওভার বাকি থাকতেই জিতে নিল বিশ্বকাপ ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই স্টার্কের গতির কাছে পরাভূত হয়ে ফিরে যান ব্লাক ক্যাপস ক্যাপ্টেন ম্যাককুলাম । তীব্র গতিতে লাইন লেন্থ ঠিক রেখে বল করছিলেন স্টার্ক । কিউই অধিনায়ক দেখেশোনে না খেলে কেমন জানি এলোপাতাড়ি চালাতে লাগলেন ,হয়ত ফাইনালের চাপই নিতে পারেননি তিনি । এক পর্যায়ে ৩৯ রানেই ফিরে যান গাপটিল -উইলিয়ামসনও ।  ৩৯ রানের ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে এরপর টেনে তোলে টেইলর-এলিয়ট জুটি । ১১১ রানের জুটি গড়ে লড়াই করার মত পূঁজি এনে দেয়ার সম্ভবনা ভালোভাবেই তৈরি করেছিলেন তারা। ৩৫ ওভারে রান যখন ৩ উইকেটে ১৫০ তখন ২৮০ রান করা আশা করতেই পারত তারা । তবে ফকনারের জোড়া আঘাতে খেই হারিয়ে ফেলে প্রথমবার ফাইনালে খেলা  ব্লাক ক্যাপসরা । ম্যান অব দ্যা ফাইনালেও হয়েছেন এই ফকনারই ।

১৫০-৩ থেকে ১৮৩ তেই গুটিয়ে যান তাঁদের ইনিংস । শেষ ভরসা হয়ে ৮৩ রান করে আউট হন গ্রান্ট এলিয়ট  । অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জনসন ও ফকনার ৩টি করে , স্টার্ক ২টি এবং ম্যাক্সওয়েল একটি উইকেট লাভ করেন ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত