স্পোর্টস রিপোর্ট

০১ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:০০

তামিমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও তিনশ’ না পেরোনোর আক্ষেপ

যতক্ষণ তামিম ইকবাল আর সাব্বির আহমদ ক্রিজে ছিলেন তখন মনে হচ্ছিলো আজ অনায়াসেই তিনশ' পেরোবে বাংলাদেশের স্কোর। কিন্তু প্রথমে সাব্বির এবং দ্বিতীয়ত কিন্তু প্রধানতম তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেললো বাংলাদেশ।

লেয়ার মিঢল আর্ডারের ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার প্রতিযোগীতায় শেষ পর্যন্ত তিনশ' পেরোবে কী না এই নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিলো। তবু যে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কাের ২৭৯ তে গিয়ে ঠেকলো তার কৃতিত্ব মাহমুদুল্লাহর। তার ছোট্ট কিন্তু কার্যকর একটি ঝড়েই শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটা স্কাের গড়তে পারলো বাংলাদেশ।

অথচ পুরো সিরিজেই নড়বড়ে সৌম্য সরকারের ফিরে যাবার পর কি দুর্দান্তই না খেলছিলেন তামিম আর সাব্বির। দীর্ঘদিন পর ওয়ান ডাউনের অবস্থান ফিরে পেয়ে আগের মতোই সপ্রতিভ সাব্বির। ফেরার আগে ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৯ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ইনিংস সাজানোর পর রহমত শাহ’র বলে নওরোজ মোঙ্গলের বলে আউট হন সাব্বির।

সাব্বিরকে ফোরনো গেলো আজ তামিমকে কিছু আটকাতে পারেনি আফগানরা। কাঙ্খিত সেঞ্চুরি আদায় করে নেন তামিম। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৯ রান করে টাইগাররা। ম্যাচে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।

মাত্র ১১ রান করে সৌম্য সরকার ফিরে গেলে প্রথম দুই ম্যাচের মতো এদিনও শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মিরওয়াইস আশরাফের বলে উইকেট কিপার মোহাম্মদ শেহজাদের হাতে ধরা পরেন তিনি। দলীয় ২৩ রানে ফেরেন তিনি। সৌম্যর আগে অবশ্য আফগান অধিনায়কের ভুলে নিশ্চিত জীবন ফিরে পান তামিম ইকবাল।

প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে টেনে তোলেন তামিম ও সাব্বির রহমান। দুজনে ১৪০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সাব্বির।

সাব্বির ফিরে গেলেও ব্যাট থামাননি তামিম। ১১০ দশ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ১১ চার ও দুই ছক্কায় ইনিংসটি সাজান টাইগার ওপেনার। এদিন অবশ্য সুবিধে করতে পারেননি মুশফিক ও সাকিব। মুশফিক ১২ ও সাকিব করেন ১৭ রান। তবে শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ২২ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস ২৭৯ রানে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয় বাংলাদেশকে।

আফগানদের হয়ে মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান নেন দুটি করে উইকেট।

তিন ম্যাচের সিরিজে দুদলের মধ্যে ১-১ সমতা বিরাজ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত