ক্রীড়া প্রতিবেদক

০১ অক্টোবর, ২০১৬ ২১:৩৯

শততম ওয়ানডে জিতে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

সিরিজের আগে আফগানিস্তান নিজেরাও হয়ত দারুণ ফর্মে থাকা বাংলাদেশের সাথে এতটা প্রতিদ্বন্দিতার স্বপ্ন দেখেনি। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কাছকাছি গিয়েও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানা আফগানরা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে সিরিয়ে সমতা নিয় আসে। তবে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে এসে ধরে রাখতে পারল না প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারাবাহিকতা। আফগানিস্তানের রক্তচক্ষু থামিয়ে ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জয়ের সাথে শততম ওয়ানডে ম্যাচ জিতল টাইগাররা।

বাংলাদেশের দেয়া ২৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে খেলতে নেমে মাশরাফিদের  নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়েন শেহজান-মঙ্গলরা। উইকেটে থিতু হতে না পেরে অধিনায়ক মাশরাফির বলে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে যান মারকুটে শেহজাদ। এরপরই অবশ্য বল করতে গিয়ে পা পিচলে পড়ে আহত হয়ে সমস্ত স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন মাশরাফি। ভক্তরা পুরনো ইনজুরির শঙ্কায় যখন চিন্তার ভাঁজ ফেলছিলেন তখনই উঠে দাঁড়ান দলপতি, ব্যাথা নিয়েও ফের বল করতে শুরু করলে পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে তুমুল করতালি শুরু হয়।

৫ রানে ১ উইকেট হারানোর পর ৫২ পর্যন্ত দলকে টেনে নেন নওরওজ মঙ্গল ও রহমত শাহ। তবে তাদের জুটির রান তোলার গতি ছিল শ্লথ, উইকেটে ছিলেন জড়োসড়ো। ফলে ৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা বাঁহাতি মোশাররফ রুবেলের পক্ষে নওরোজের উইকেট তোলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। একই ওভারে হাশমতুল্লাহ শহিদিকেও তামিমের ক্যাচে পরিনত করেন রুবেল। ৩৫ ছুঁইছুঁই এই স্পিনারের জন্য স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনই বটে। ৫৫ রানের মাথায় আফগান কাপ্তান স্টেনেকজাই সাকিবের অসাধারণ থ্রোতে রানআউট হয়ে গেলে ম্যাচের ফলাফলই তখনই অনেকটা  নির্ধারিত হয়ে যায়।

গত দুই ম্যাচে বেশ কিছুটা খরুচে বোলিং করা তাসকিন এদিন অনেকটা রিদম ফিরে পেলে খাদের কিনারে চলে যায় আফগানদের ইনিংস।  এই ফাস্ট বোলার ফিরিয়ে দেন রহমত শাহ ও শেনওয়ারিকে। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে মোশাররফ রুবেল তোলে নেন মোহাম্মদ নবীর উইকেট। মোসাদ্দেক ও শফিউল এর পরের আনুষ্ঠানিকতাগুলো সারেন।  মাঝে মাহমুদুল্লাহ দারুণ থ্রোতে ফেরান রশিদ খানকে। তবে ২৮তম ওভারের মাঠে ঢুকে এক ভক্তের মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরা এবং নিরাপত্তাকর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ম্যাচের ফলের চেয়ে মাশরাফিই ফের উঠে আসেন আলোচনায়। ইংল্যান্ড সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসের কমতি শেষ পর্যন্ত থাকছে না। কেবল মোস্তাফিজ ছাড়া আর সব শক্তি নিয়েই বোধহয় ইংলিশদের বিপক্ষে ৭ তারিখ নামছে মাশরাফিবাহিনী।






আপনার মন্তব্য

আলোচিত