ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ১৭:২৫

শেষ দিনে বাংলাদেশের চাই ৩৩, ইংল্যান্ডের ২ উইকেট

আরেকটি আক্ষেপের গল্প, নাকি ইতিহাস গড়ে জয়। এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিনের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
২৮৬ রান তাড়ায় ৮ উইকেট ২৫৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ আর ৩৩ রান করতে পারলে দেখা দিবে অবিস্মরণীয় এক জয়। ৫৯ রান করে ক্রিজে আছেন সাব্বির রহমান আর তাঁর সঙ্গী তাইজুলের রান ১১।

সাব্বিরের অর্ধশতক, মুশফিকের দৃঢ়তায় একটা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ।  সাব্বির ও মুশফিকের দারুণ জুটিতে যেখানে ইংল্যান্ডের কপালে ভাঁজ পড়েছিল। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ৫৯ রান তখনই গ্যারেথ ব্যাটির হঠাৎ লাফিয়ে উঠা বলে ভড়কে গিয়ে আউট হয়ে যান মুশফিক। সাব্বির ছিলেন বলে আশা ছিল। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেয়ার মত তো কেউ থাকতে হবে। বোলিংয়ে দারুণ করা মেহেদি হাসান মিরাজ দুই ইনিংসেই হতাশ করেছেন ব্যাটিংয়ে। ব্যাট হাতে ক্রিজে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন বেশ নড়বড়ে। আগের ইনিংসে স্টোকসের বলে যেভাবে আউট হয়েছিল প্রায়ই একইভাবে ব্রডের বলে কোন রান না করেই ফিরে যান তিনি। ফলে খেলা ঝুঁকে যায় ইংল্যান্ডের দিকে।


মিরাজের পর কামরুল ইসলাম রাব্বিকে পাঠানো হয়েছিল সাব্বিরকে সঙ্গ দিতে তিনি বোলিংয়ের মত ব্যাটিংয়ে দলে থাকার মত দৃঢ়তার ছাপ রাখতে পারেননি। ২৩৮ রানে ৮ উইকেট পড়ার পর যেকোনো মুহূর্তে খেলা শেষ হবার পরিস্থিতি এড়িয়েছন তাইজুল। সাব্বিরকে কিছুটা সঙ্গ দিনে কোনভাবে দিন পার করেছেন তিনি।

এর আগে ২৮৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ৯ রান করে তামিম ফিরে গেলেও ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল ছিলেন সাবলিল। লাঞ্চের ঠিক আগে ৪৩ রান করে ইমরুল ফিরে যান। লাঞ্চ থেকে ফিরে দলীয় ১০৮ রানেই মুমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ আউট হলে শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। মুমিনুল করেন ২৭ আর মাহমুদুল্লাহ করেন ১৭ রান। এরপর মুশফিক আর সাকিবই ছিলেন ভরসা। আগের ইনিংসের ছেলেমানুষী ভুল শুধরানোর সুযোগ ছিল সাকিবের সামনে। কিন্তু ২৪ রান করে আউট হয়ে হতাশায় ডোবান তিনি।

এরপরই মুশফিক-সাব্বিরের ৮৭ রানের দারুণ এক জুটি খেলায় ফেরায় বাংলাদেশকে। শেষ দিনে ৫৯ রান করা সাব্বিরের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ। তবে তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য দুই টেল এন্ডার তাইজুল ও শফিউলকেও রাখতে হবে বড় ভূমিকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত