ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ১৫:১১

হঠাতই ছন্দপতন, ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের

প্রথম সেশন যদি হয় বাংলাদেশের, তাহলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনের পুরোটাই ইংল্যান্ডের। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে করে ১১৮ রান, আর লাঞ্চের পর এক সেশনেই হারায় ৫ উইকেট; রান ওঠে মাত্র ৮৭। আর চা-বিরতির পর সবগুলো উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২০ রান। অথচ শুরুটা না হয়েছিল কী দুর্দান্ত!

লাঞ্চের পর সাজঘরে ফেরা ব্যাটসম্যানেরা হলেন তামিম ইকবাল (১০৪), মমিনুল (৬৬), মাহমুদুল্লাহ (১৩), মুশফিকুর রহিম (৪), সাব্বির (০); এর আগে প্রথম সেশনে ১ রান করে আউট হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। এরপর চা-বিরতির পর আউট হন শুভাগত (৬), মেহেদি মিরাজ (১), সাকিব (১০) ও কামরুল রাব্বি (০); ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল ইসলাম।

ইংল্যান্ডের পক্ষে মঈন আলী নেন ৫ উইকেট, ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস নেন যথাক্রমে ৩ ও ২ উইকেট।

চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ এক ইনিংস খেলা সাব্বির রহমান এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বেন স্টোকসের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তিনি ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২০২/৬।

সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানে বাংলাদেশ হারায় ইমরুল কায়েসের উইকেট। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-মমিনুল যোগ করেন ১৭০ রান। দলীয় ১৭১ রানে তামিম আউট হন। এরপর শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল।

অফ স্পিনার মইন আলি তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর আঘাত হানেন বেন স্টোকস। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুকের কাছে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ (২৬ বলে ১৩)। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৯৬/৪। মুমিনুলকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন মইন

মইন আলির ফুল লেংথ বল পিছিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেন মুমিনুল হক। ইংলিশ অফ স্পিনারের রাউন্ড দা উইকেটের বলের লেংথ বুঝতে ভুল করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১১১ বলে ১০টি চারে ৬৬ রান করে মুমিনুল ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯০ রান।

এর আগে, দুর্দান্ত শতকের পর মইন আলির বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন তামিম ইকবাল। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু এবার আর টিকতে পারেননি। ইমপ্যাক্ট অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল, কিন্তু শট না খেলায় এতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ১৪৭ বলে ১২টি চারে ১০৪ করে ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৭১/২। মুমিনুলের সঙ্গে তামিমের ১৭০ রানের জুটিতে রান ওঠে ওভারপ্রতি ৪.৩৭ করে।

এ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলছে মাত্র একজন পেসার নিয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা শফিউল ইসলাম জায়গা পাননি এই ম্যাচের স্কোয়াডেই। তার জায়গায় একাদশে ফিরেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোম। সবশেষ গত বছর ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টে খেলেছিলেন শুভাগত। সেই টেস্টেই সবশেষ এক পেসার ও চার স্পিনার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত কামরুল ইসলাম রাব্বি ঢাকায় খেলছেন একমাত্র পেসার হিসেবে। ইংল্যান্ড দলে এসেছে দুটি পরিবর্তন। স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গায় দলে ফিরেন স্টিভেন ফিন। গ্যারেথ ব্যাটির জায়গায় অভিষেক হয়েছে জাফর আনসারির।

বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদ উল্লাহ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, শুভাগত হোম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি।

ইংল্যান্ড দল : অ্যালিস্টার কুক (অধিনায়ক), বেন ডাকেট, জো রুট, গ্যারি ব্যালান্স, বেন স্টোকস, মঈন আলি, জনি বেয়ারস্টো, জাফর আনসারি, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, স্টিভেন ফিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত