স্পোর্টস ডেস্ক

২২ মার্চ, ২০১৭ ১৮:৪৪

বিরাট কোহলি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের ডোনাল্ড ট্রাম্প!

নিজের ব্যাটে রান নেই। দলের পারফরম্যান্সও প্রত্যাশামতো নয়, অন্তত সিরিজের অনুমিত ফলাফলে তার প্রতিফলন নেই। বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠে ও মাঠের বাইরে বিতর্ক তো আছেই। বিরাট কোহলির জন্য স্নায়ুর চরম পরীক্ষা চলছে বেশ।

সিরিজের শুরু থেকেই সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা নানাভাবে বিঁধছেন কোহলিকে। পাশাপাশি তাঁর আগ্রাসী মনোভাবটা যেন একেবারেই পছন্দ নয় অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমের। তারা কোহলির সঙ্গে তুলনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের!

রাঁচি টেস্টের পর অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক কলামে লেখা হয়েছে, ‘বিরাট কোহলি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের ডোনাল্ড ট্রাম্পে পরিণত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতোই কোহলি নিজের মুখে লাগা কালো দাগ আড়াল করার চেষ্টা হিসেবে গণমাধ্যমকে দোষারোপ করা শুরু করেছেন।’

ভারতের মাটিতে সিরিজ হারের শঙ্কা নিয়ে খেলতে এলেও পুনের প্রথম টেস্টটা অভাবনীয় নৈপুণ্যে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দুই দলের সম্পর্ক খারাপ হয় বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় টেস্ট থেকে। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ডিআরএস নেওয়ার ব্যাপারটি নিয়েই মূলত কথার লড়াই শুরু হয় দুই দেশের ক্রিকেট–সংশ্লিষ্টদের।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তো স্মিথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইসিসির কাছে আবেদন জানানোরই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছিল। পরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে সে উদ্যোগ থেকে সরে আসে ভারতীয় বোর্ড। তবে কথার লড়াই থামেনি। সুযোগ পেলেই কোহলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা।

পুরো ব্যাপারটায় বিরক্ত সুনীল গাভাস্কার তো বলেই দিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের “সাপোর্ট-স্টাফ” হিসেবে কাজ করছে।’

সিরিজের সর্বশেষ বিতর্ক কোহলির একটি চোটকে কেন্দ্র করে। কোহলি বলেছেন, ‘ওরা মাঠে প্যাট্রিকের নাম নেওয়া শুরু করল। আমি জানি না কেন। প্যাট্রিক ভারতীয় দলের ফিজিও। আমি হঠাৎ প্যাট্রিকের নাম নেওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাইনি।’

স্মিথ অবশ্য বলেছেন, এটা করে তারা প্যাট্রিকের কোনো অসম্মান করেননি, ‘প্যাট্রিক ভালো ফিজিও। আমরা মাঠে বলতে চেয়েছিলাম প্যাট্রিকের শুশ্রূষায় কোহলি চোট কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়িই ফিরেছে। আমরা আসলে বলতে চেয়েছি এটাই।’

সূত্র: এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত