স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ মে, ২০১৭ ১৫:৪৪

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮৭ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এউইন মরগান দারুণ ফর্মেই আছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে, এ সময় মরগানের ব্যাটে রান তো বাড়তি অনুপ্রেরণাই জোগাবে ইংলিশদের। হেডিংলিতে গতকাল মরগানের দারুণ এক সেঞ্চুরিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৭ রানের প্রেরণাদায়ী জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার দৃষ্টিকোণ থেকে আবারও সেই প্রশ্নটা আসছে—চাপে পড়লে দল কি এমন বারবার হুড়মুড় করে ভাঙবেই!

৩৪০ রানের লক্ষ্যে কী দারুণ শুরু। ১ উইকেটে ১৪৫। অর্ধেক কাজ তো এখানেই হয়ে গেল। কিন্তু যখন চাপ নেওয়ার প্রশ্নটা এল, প্রোটিয়ারা হয়ে গেল তাসের ঘর। বাকি ৯ উইকেট পড়ল ১২২ রানে! এর মধ্যে শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ৫৯ রানে! দুয়ারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বলেই কি নিজেদের ‘চোকার’ পরিচয়টা মনে পড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার!

একদিক দিয়ে বলতে গেলে ‘চোকার’ তো ইংল্যান্ডও। ক্রিকেটের আবিষ্কারক তারা, অথচ এখনো ওয়ানডেতে কোনো বড় টুর্নামেন্ট তারা জেতেনি! আইসিসির একমাত্র টুর্নামেন্ট তারা জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১০ সালে। ওয়ানডেতে তিনবার ফাইনালে উঠেও ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়েও দুঃখটা কি কম? এখানেও তো তারা ফাইনালে উঠেছিল দুবার। গতবারই যেমন হেরে গিয়েছিল ভারতের কাছে।

চার বছর আগের সেই দুঃখ ঘোচার মিশনে আবার প্রস্তুত হচ্ছে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজটা সেই সামর্থ্যেরই পরীক্ষা। তাতে প্রথমটায় লেটার নম্বর নিয়েই পাস। আর সেই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক নিজে।

গত ৮ ম্যাচে মরগানের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। তাঁর ৯৩ বলে ১০৭ রানের ইনিংসের সঙ্গে যোগ হয়েছিল অ্যালেক্স হেলসের ৬১ আর মঈন আলীর ৭৭। এ ছাড়া জো রুট ৩৭ আর বেন স্টোকস ২৫ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে রুট আর হেলস যোগ করেন ৯৮ রান। তবে মরগান চতুর্থ উইকেটে স্টোকসের সঙ্গে ৬৮ আর ষষ্ঠ উইকেটে মঈনের সঙ্গে ১১৭ রান যোগ করলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ পাহাড়ের চূড়া স্পর্শ করে। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান।

জবাবে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় কুইন্টন ডি কককে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসির মধ্যে ১১২ রানের জুটি শুরুর ধাক্কা ভালোই সামাল দেয়। ৭৬ বলে ৭৩ রান করে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন আমলা। পরের ওভারে ডু প্লেসিও ফেরেন ৬১ বলে ৬৮ রান করে। পরের চাপটা সামলে নিতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স, জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলাররা। এর মধ্যে এবির রানটাই যা একটু ভদ্রস্থ। ৩৮ বলে ৪৫।

৩০ ওভার শেষেও ম্যাচে ভালোভাবে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ উইকেটে ১৮২। শেষটা টি-টোয়েন্টির ধাঁচে খেললেই হয়। ২০ ওভারে ১৫৮ চাই। কিন্তু ওই যে এরপরই চাপ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ এল। আর তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেল তো করবেই। ৩১তম ওভারে ডুমিনি ফেরার পর বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৫৯ রানে। ক্রিস ওকস ৩৮ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট পান দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন।
সূত্র: এএফপি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত