ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৭ মে, ২০১৭ ১৩:৪৩

প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বিকেলে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা মাঠে গড়াতে আর মাত্র ৪দিন বাকি। আর তার প্রস্তুতি হিসাবে শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচও। প্রথমদিন মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয়দিন শনিবার (২৭ মে) মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামার আগে এটি নিজেদের প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ টাইগারদের।

বার্মিংহামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়। মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে ৩০ মে। শুধুই একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। তারপরও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে যেন অন্যরকম শিহরণ। সেটি প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই কি! সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়েই ক্রিকেটের পরাশক্তিদের বিরুদ্ধে জয়ের শুরু টাইগারদের। ১৯৯৯ বিশ্বকপে সেই ম্যাচটি ছিল ইংল্যান্ডেই। এবার আবারো ইংল্যান্ডের মাটিতেই পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশ। ৯৯’এর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শক্তির ব্যবধান কমে এসেছে অনেক। প্রস্তুতি ম্যাচের আবহ হলেও সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে যুদ্ধের বারতাই।

বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তান মানে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি রোমন্থন। এতদিন এটি প্রচলিত রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রেক্ষাপটটাও পাল্টে দিয়েছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলামের বাংলাদেশ ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তানকে হারানোর পর ষোল বছর পাকিস্তান বধ সম্ভব হয়নি। কিন্তু ২০১৫ সালে সেই পাকিস্তানকেই ঘরের মাঠে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। সিরিজের একমাত্র টি-টুয়েন্টিতেও জিতেছিল টাইগাররা। অমন স্মরণীয় সিরিজের শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানকে ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়েই। প্রেক্ষাপট ভিন্ন। টুর্নামেন্টের আবহও। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে শুরু করতে পারলে তো দারুণই হয়।

ইংল্যান্ডে পা রাখার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে এসেছে টাইগাররা। যেখানে সর্বশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ। তবে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশন একেবারে ভিন্ন বলে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিকে বড় করে দেখছেন টাইগার অধিনয়াক মাশরাফি। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়-পরাজয় যাই হোক, শতভাগ প্রস্ততিটা তাই বড় প্রাপ্তি হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত