স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০১৭ ১৬:২৯

সেমিফাইনালে ফেদেরার, ছিটকে গেলেন জোকোভিচ ও মারে

ম্যারাথন ম্যাচে হেরে চতুর্থ রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। কাল উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালের পথ ধরে বিদায় নিয়েছেন অ্যান্ডি মারে ও নোভাক জোকোভিচ। টেনিসের ‘বড় চারের’ সবচেয়ে বড় জন অবশ্য ও পথে হাঁটেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে মিলোস রাওনিচকে সরাসরি সেটে হারিয়ে রজার ফেদেরার উঠে গেছেন সেমিফাইনালে।

কানাডার রাওনিচের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল উইম্বলডনে ফেদেরারের শততম। ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ (৭/৪) গেমে জিতে উপলক্ষটা স্মরণীয় করে রাখলেন সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। সুইস মহাতারকা এই নিয়ে ১২ বার উইম্বলডনের শেষ চারে উঠলেন। সেমিফাইনালে ফেদেরারের প্রতিপক্ষ টমাস বার্ডিচ।

বার্ডিচ কাল একরকম ওয়াকওভারই পেলেন জোকোভিচের বিপক্ষে। প্রথম সেটটা ৭-৬ (৭/২) গেমে জেতেন চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড়। পরের সেটেও বার্ডিচ যখন ২-০ গেমে এগিয়ে, কনুইয়ের চোট সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচকে।

এর আগে ব্রিটিশদের হতাশ করে বিদায় নিয়েছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারে। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হেরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম কোয়েরির কাছে। সর্বশেষ এটিপি র‍্যাঙ্কিংয়ের ২৮ নম্বর খেলোয়াড় কোয়েরির বয়স ২৯। গ্র্যান্ড স্লামে ৪২ বারের চেষ্টার প্রথম সেমিফাইনালে ওঠার পথে কোয়েরি মারেকে হারিয়েছেন ৩-৬, ৬-৪, ৬-৭ (৪/৭), ৬-১, ৬-১ গেমে। শেষ চারে কোয়েরির প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন চিলিচ।

ম্যাচ গড়িয়েছে পাঁচ সেটে। তবে সেন্টার কোর্টে শেষ দুই সেটে মারে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি। পারবেনই বা কীভাবে? ব্রিটিশদের আশা-ভরসা মারে যে ঠিকঠাক নাড়াতেই পারছিলেন না তাঁর ডান পা। কিছুদিন আগে নিতম্বের চোটটাই কাল আবার এসেছিল ফিরে।

ম্যাচে ২৭টি এইস ও ৭০টি উইনার মেরেছেন কোয়েরি, ২০০৯ সালের পর উইম্বলডনের সেমিফাইনালে ওঠা প্রথম আমেরিকান। কাল শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না কোয়েরির। প্রথম সেটে তাঁর পারফরম্যান্স বুঝতে দেয়নি যে শেষ পর্যন্ত অঘটন ঘটাবেন। কোয়েরি নিজেও সেটি স্বীকার করেছেন, ‘শুরুটা ভালো ছিল না। উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠতে পেরে স্বপ্ন সত্যি হলো।’
তথ্যসূত্র: এএফপি, স্টার স্পোর্টস

আপনার মন্তব্য

আলোচিত