স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জুলাই, ২০১৭ ২০:১৪

ওয়াকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হেরেছিল পাকিস্তান!

১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক জয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে নর্দাম্পটনের সেই জয় অনেকবারই এসেছিল আলোচনায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া জয় ছিল এটি। আলোচনার আরেকটি কারণ ছিল, সেটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় হয়ে ছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত।

ওই বছর বাংলাদেশ সফরে এসে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে তিনটি ওয়ানডে, এরপর একমাত্র টি-টোয়েন্টিও হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। খুলনা টেস্টেও পাকিস্তানকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ঢাকা টেস্ট জিতে সান্ত্বনা নিয়ে ফিরতে পেরেছিল দেশে। কিন্তু সেই সফরে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাওয়াশের ক্ষত যে আজও রক্তক্ষরণ ঘটায়, কামরান আকমলের কথা শুনে তা-ই বোঝা গেল।

তখন পাকিস্তানের কোচ ছিলেন ওয়াকার ইউনুস। আকমলের চোখে, ওয়াকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সেই সফরে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল পাকিস্তান। পিছিয়ে পড়েছিল র‍্যাঙ্কিংয়ে। আকমলের দাবি, ‘বিশ্বকাপের পর উনি (ওয়াকার) ছয় কি সাতজন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে বাংলাদেশে গেলেন। যার ফলে আমরা ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো ওদের কাছে হেরে গেলাম।’

বোলার হিসেবে ওয়াকার তাঁর সময়ের সেরাদের একজন ছিলেন, তাতে সন্দেহ নেই। তা মানলেও কোচ ওয়াকারকে আকমল দিচ্ছেন শূন্য। পারলে ঋণাত্মক নম্বরই দিতেন। কারণ, আকমলের চোখে, ওয়াকার যে পাকিস্তানের ক্রিকেটের ক্ষতি করে গেছেন কোচের ভূমিকায়!

পাকিস্তানের কোচ হিসেবে ভিন্ন দুই মেয়াদে কাজ করেছেন ওয়াকার। কোনোবারই তাঁর অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবারও ছাঁটাই করা হয় এই সাবেক তারকাকে। এরপর এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় এভাবে কঠোর ভাষায় ওয়াকারের তীব্র সমালোচনা করলেন।

আকমল বলেছেন, ‘ওয়াকার ভাই কোচ হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটের ক্ষতি করে গেছেন। অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সিনিয়র খেলোয়াড়দের বসিয়ে রাখায় জাতীয় দল দুই কি তিন বছর পিছিয়ে গিয়েছিল। সঠিক বলতে পারব না, তবে কিছু কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা ছিল। পাকিস্তান দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। ২০১৫ বিশ্বকাপে যেমন ইউনিস খানকে বলেছিলেন ওপেন করতে। আবার ওই টুর্নামেন্টের শেষের দিকে সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল।’
সূত্র: পিটিআই

আপনার মন্তব্য

আলোচিত