১৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:২৮
গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের একাংশ পুরোই ফাঁকা। পূর্ব গ্যালারিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাজারখানেক দর্শক। উত্তর-দক্ষিণ গ্যালারি, হসপিটালিটি বক্সে তাকালে ফাঁকা অংশই চোখে পড়বে সবার আগে। ২৬ হাজার আসন সংখ্যার গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি হাজার তিনেক! অথচ সিলেটে টিকিটের অভাবে খেলা দেখতে পারেননি হাজার হাজার দর্শক।
বিপিএল নিয়ে সিলেটে কেমন উত্তেজনা ছিল তা এই এক লাইনে প্রকাশ করা অসম্ভব। টিকিটের জন্য চারদিনই হাহাকার ছিল সিলেটবাসীর। টিকিট নিয়ে মারামারি পর্যন্ত হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। ক্ষুব্ধ দর্শকদের ছোড়া ইটে আহত হয়েছেন পুলিশসহ বিসিবির নিরাপত্তা সদস্য।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক অবশ্য আগেই জানিয়েছেন সিলেটের মতো দর্শক ঢাকায় হবে এমনটা আশা করছেন না তারা, ‘শুধু শুক্রবার বা বন্ধের দিন ছাড়া ঢাকায় দর্শক পাওয়া মুশকিল। এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে আমরা দর্শক আশা করছি।’
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মিরপুর স্টেডিয়ামে দর্শক-খরার একটি কারণ হতে পারে রান কম হওয়া। টি-টোয়েন্টিতে চার-ছক্কা দেখার আশায় থাকলেও সেটি দেখা যাচ্ছে কমই। বিপিএলের গত চার আসরে এখানে দলগুলো ১২০ থেকে ১৪০ এর মধ্যে থেমে গেছে বেশিরভাগ ম্যাচে। এবারো শুরুটা বাজেই হয়েছে। প্রথম দিন প্রথম ম্যাচে রংপুর ১৩৪ রান তুলে নির্ধারিত ওভার শেষ করে। রাতের ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে সিলেট সিক্সার্স মাত্র ৪৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ জুটির লড়াইয়ে করে ১০১।
রোববার দুপুরের ম্যাচে খুলনা টাইটানস ১৭০ রান তুললেও রাতের ম্যাচে ২০ ওভার খেলে রাজশাহী কিংস করতে পেরেছে ১১৫ রান।
সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন
আপনার মন্তব্য