স্পোর্টস ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২০:০৫

ট্রিপল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে নাসির, এনামুলের ডাবল সেঞ্চুরি

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ এক ডাবল ডাবল সেঞ্চুরি করে এখন ট্রিপল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে আছেন রংপুরের নাসির হোসেন।

আগের দিন নাসির হোসেন ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল হক। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে পঞ্চম উইকেটে তারা দু'জন ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনে ৭৯ রানের জুটিটিকে তারা রূপ দেন ৩৬৮ রানের জুটিতে।

দলীয় ৫৫৩ রানের মাথায় আউট হন আরিফুল হক। ২৯০ বল খেলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ১৬২ রান করেন তিনি। আরিফুল আউট হয়ে গেলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এখনো অপরাজিত আছেন নাসির। ৪৬৭ বল খেলে ২৯টি চার ও ৩ ছক্কায় ২৭০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি পেতে তাঁর আর মাত্র ৩০ রান প্রয়োজন।

রান পাহাড়ে চড়েও রংপুরের ইনিংস ঘোষণা না করার পেছনের কারণ, নাসির হোসেনের ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি পাওয়ার অপেক্ষা। নাসিরের অপরাজিত ২৭০ ও আরিফুলের ১৬২ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৭০ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে রংপুর। নাসিরের সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক ধীমান ঘোষ। প্রথম ইনিংসে বরিশালের করা ৩৩৫ রানের জবাবে ইতিমধ্যে ২৩৫ রানের লিড নিয়েছে রংপুর।

আজ শুক্রবার রংপুরের মাত্র ১টি উইকেটের পতন ঘটেছে। সেটি নিয়েছেন বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বী।

এই ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে। তৃতীয় দিন শেষ হলেও এখনো রংপুরের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। রংপুরের ব্যাতিং শেষে ব্যাট হাতে নামবেন বরিশাল বিভাগের ব্যাটসম্যানরা। এরপর দুই দলের জন্য থাকবে দ্বিতীয় ইনিংস। সুতরাং এই ম্যাচে জয়-পরাজয়ের ফলাফল আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

একই দিন সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন খুলনা বিভাগের ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। ২৫১ বল মোকাবিলা করে ২৩ চার ও ৪টি ছক্কায় ২০২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন বিজয়। এর আগে চলতি লিগের প্রথম রাউন্ডেও ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিজয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন শেষে ১৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন বিজয়। তার সঙ্গে ১৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন খুলনার হয়ে ওয়ানডাউনে নামা মেহেদী হাসান। বিজয়ের মতো আজ তারও ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৭৭ রানের মাথায় ঢাকার বোলার শরীফের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান।

বিজয়ের ডাবল সেঞ্চুরি ও মেহেদী হাসানের ১৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ৪৫৯ রানে বড় পুঁজি গড়ে ইনিংস ঘোষণা দিয়েছে খুলনা।

অন্যদিকে, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে রাজশাহী বিভাগ। দ্বিতীয় দিনের বিনা উইকেটে ৯০ রান নিয়ে বুধবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল রাজশাহী। মিজানুর ব্যাটিং শুরু করেন ৪৭ রান নিয়ে, শান্ত ৪৩ রানে।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৪৬০ রান। লিড ১৩২ রানের। এর আগে প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রো করেছিল ৩২৮ রান।

রাজশাহীর হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ক্যারিয়ার সেরা ১৯৪ রান। আর তাঁর সঙ্গে বড় জুটি গড়া মিজানুর রহমান খেলেন ১৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস।

ঢাকার হয়ে ১৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন নিহাদ্দুজামান। তাসকিন ও আবু হায়দার নিয়েছেন একটি করে উইকেট। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত