নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০১৫ ০০:৫৩

অভিষেকেই অনন্য মুস্তাফিজ

ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ইনস্যুয়িং কার্টার, বাঁহাতিকে আউটস্যুইয়িং কার্টার দিয়ে নাচিয়ে যাচ্ছেন এক বাংলাদেশী বাঁহাতি পেসার। এমন দৃশ্য কদিন আগেও কেবল দিবাস্বপ্নই ছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরজের আগে বেশিরভাগ দর্শকের কাছে মুস্তাফিজুর রহমান ছিল এক অচেনা নাম। অনুর্ধ্ব ১৯ দলের এই পেসার ঘরোয়া ক্রিকেটেও খুব বেশি খেলননি। তাকেই কিনা নির্বাচকরা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে নামিয়ে দিলেন! অনেকেই সমালোচনার চোখে দেখলেন ব্যাপারটা।

তবে ওই ম্যাচেই সবার নজর কেড়েছিলেন সদ্য কিশোর পেরোনো এই পেসার। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই উইকেট। আর বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) তো একেবারে বাজিমাত করে দিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে তার বোলিং ফিগার-  ৯.২-১-৫০-৫! অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।

ভারত সিরিজের ওয়ানডে দলে মুস্তাফিজের দলে থাকা তাই কোন চমক নয়। তবে প্রথম ম্যাচেই একাদশে জায়গা পেয়েই প্রথম ওভারেই তার হাতে বল তোলে দেয়া কিছুটা চমকই বলতে হবে। মাশরাফি এতটাই আস্থা রেখেছিলেন এই তরুণের উপর। প্রথম বল থেকেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।

ইনসুয়িং এবং আউটসুয়িং কার্টারে ভারতের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের যখন পরাস্ত করছিলেন সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা বাঁহাতি এই পেসার তখন কমেন্ট্রে বক্সে হার্শা ভোগলে চামিন্দা ভাস , ওয়াসিম আকরামের সাথে তুলনা করলেন তাকে। বলে খুব বেশি পেস না থাকলেও ওই দুজনও সুয়িং দিয়ে কাবু করতেন ব্যাটসম্যানদের।

মুস্তাফিজের মাঝে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের ছায়া দেখা গেলেও তার 'গ্রেট; হয়ে উঠা নির্ভর করবে বিসিবির পরিচর্যার উপর। সঠিক পরিচর্যা পেলে কেবল স্পিন নয়, দুর্দান্ত পেস দিয়েও বিশ্ব ক্রিকেটে প্রভাব রাখতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের সাথে সিরিজের প্রথম ম্যাচ যেন তারই আভাস দিয়ে গেল। ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসদের যুগ পেরিয়ে ক্রিকেটে এখন চলছে মিশেল স্টার্কের গতির ঝড়। বাঁহাতি ক্ল্যাসিকাল সুয়িং পেসারের মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রভাব রাখতে পারবেন তো মুস্তাফিজ?



আপনার মন্তব্য

আলোচিত