সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ জুন, ২০১৫ ০৪:১৯

চাপের নাম ‘বাংলাওয়াশ’!

ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই ম্যাচ জিতে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্যে প্রয়োজনীয় আইসিসির র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেসেখেলে জিতে প্রত্যাশার চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয় র‍্যাংকিং স্থান অর্জনের পর মিডিয়াসহ সব মহলে রব ওঠে ‘বাংলাওয়াশ’। আর এতেই দলের ওপর বেড়ে যায় অপ্রত্যাশিত এক চাপ।

শেষ পর্যন্ত তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে এ চাপ থেকে বের হতে পারেনি দল ফলে সমানে সমানে লড়াই করেও শেষ মুহুর্তে ভেঙে পড়ে দল। পরাজিত হয় ৭৭ রানের ব্যবধানে। ‘বাংলাওয়াশ’ প্রত্যাশাকে চাপ হিসেবে কবুল করলেন অধিনায়ক মাশরাফি। বললেন- ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে এটাই বাড়তি চাপ হয়ে দেখা দিয়েছিল।

ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতে স্বাগতিকরা।

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, সিরিজ নিশ্চিত করার পর চাপ তো কমেইনি বরং বাংলাওয়াশ ভাবনা নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।

“সিরিজের শুরুতে যে চাপ ছিল সেটা শেষ ম্যাচের আগে আরও বেড়ে যায়। দুইটা কিংবা একটা ম্যাচ জিতলে একটা শব্দ উঠে যায় ‘বাংলাওয়াশ’। তবে আমরা আরেকটু ইতিবাচক হিসেবে ম্যাচটি নিতে পারতাম।”

ব্রেক থ্রু পাইনি বলে এটা হতে পারে। তবে এসব দিক থেকে শিখতে হবে। কারণ এরকম পরিস্থিতি, এরকম জুটি সামনে আরও আসবে। আমরা এই ম্যাচে অনেক দূরে ছিলাম না। কিন্তু আমাদের সেরাটা বের করতে পারিনি- বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি।

প্রশ্ন ওঠেছে শেষ ম্যাচে টস জিতে কেন প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠাল বাংলাদেশ যেখানে ভারতের রয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালি ব্যাটিং লাইন-আপ। উত্তরটা দিলেন অধিনায়ক। বললেন- আসলে বৃষ্টি হওয়ার একটা বড় শঙ্কা ছিল। আপনারা জানেন, ডাকওয়ার্থ লুইসে পরে ব্যাটিং করলে সুবিধা হয়। সমীকরণটা জানা থাকে বলে সেভাবে খেলা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বৃষ্টি হলো না। হলে হয়তো আমাদের জন্য ভালো হতো।

টসের পর টিভিতে সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছিলেন, টস জিতলে তিনিও ফিল্ডিং নিতেন। বৃষ্টির শঙ্কা ভাবনায় ছিল ভারত অধিনায়কেরও।

এদিকে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশ দলের র‍্যাংকিং পয়েন্ট কমেনি। বুধবার ম্যাচ শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, হারের পরও বাংলাদেশের আছে ৯৩ পয়েন্টই। ভারতের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে বাংলাদেশ শুরু করেছিল ৯৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে।

৮৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ভগ্নাংশ ব্যবধানে পেছনে থেকে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। র‍্যাংকিংয়ের দুই নম্বর দলকে হারানোর পুরস্কার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলেছে ৫ পয়েন্টে।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসছে সিরিজে কোনো ম্যাচ না জিতলেও বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশি।

স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা অন্য সাত দল খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এই সময়ের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনো খেলা নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত