ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৭

কথা রাখলেন মেহেদি, তিন শট ঠেকিয়ে জেতালেন ট্রফি

‘পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে দেশবাসীকে গর্বিত করার জন্য আমরা জীবন দিয়ে দেব’, কথাগুলো অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ ফুটবল দলের বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদি হাসানের। এমন দৃপ্ত উচ্চারণ করেছিলেন তিনি ফাইনালে ওঠার দিনে, যেদিন টাইব্রেকারে ভারতের দুই-দুইটা শট ঠেকিয়ে দিয়ে নিজে হয়েছিলেন নায়ক, আর দেশবাসীকে নিয়ে গিয়েছিলেন উৎসবের সন্নিকটে।

মেহেদি হাসান কথা রেখেছেন, এবং সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও। এবার দুই শট নয়, তিন-তিনটা শট ঠেকিয়ে দিলেন তিনি। ফল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। কথামত দেশকে করেছেন গর্বিত।

অথচ আগের ম্যাচের এই নায়ক শুরুর একাদশে ছিলেন না, নেমেছিলেন বদলি হিসেবে। এবং কোচ আনোয়ার পারভেজের চোখে তিনি যে ‘পেনাল্টি স্পেশালিস্ট’!

ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হচ্ছে দেখে ৯০ মিনিটে নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমার বদলি হিসেবে মাঠে পাঠানো হয় তাকে।

প্রথম, দ্বিতীয় ও শেষ শটটি ঠেকিয়ে দিলেন যশোরের এই কিশোর। শেষ শটে পাকিস্তানের মোদাসসের গোল করতে পারলে ৩-৩ সমতায় ফিরতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু মেহেদির সেভ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তাকে কেন বদলি হিসেবে পাঠানো হয়েছে। স্পটকিক থেকে বাংলাদেশের তিনটি গোল করেছেন হৃদয়, রাজা আনসারি ও রুস্তম। মিস করেছেন রাজন ও রবিউল।

এর আগে ২৫ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেড করে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন পাকিস্তানের ডিফেন্ডার হাসিব আহমেদ খান। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পাকিস্তানকে সমতায় ফেরান মহোব উল্লাহ।

মালদ্বীপের জালে ৯ গোল গোল দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারানোর পর সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আবারও সেই টাইব্রেকারে মেহেদি হাসানের নৈপুণ্যে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৬ সাফে শেষ শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টই ফরম্যাট বদলে এখন অনূর্ধ্ব–১৫। ফলে তিন বছর পর ছেলেদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে শিরোপা জয় করল বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত