স্পোর্টস ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:৪৮

মুশফিক ঝড়ে খুলনা টাইগার্সের জয়

মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৫ উইকেট খরচায় লক্ষ্যে পৌঁছায় খুলনা।

খুলনার জয়ের দুরন্ত ৯৬ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৫১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১৮৮.২৩ স্ট্রাইক রেটের তার ব্যাট থেকে আসে এই রান!

এরআগে, শোয়েব মালিকের ৮৭ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান করেছিল রাজশাহী। তখন পর্যন্ত এটা ছিল এবারের বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ, আর মালিকের ৮৭ রান ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। দুটি রেকর্ডই ভেঙে গেল ঘন্টা দেড়েক মধ্যেই!

প্রথম দুই ম্যাচের দুটিই জিতল খুলনা। রাজশাহী ঢাকায় টানা দুই জয়ের পর চট্টগ্রামে এসে হারল প্রথমবার।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে তাদের জয় এনে দিয়েছিল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। এদিন টপ অর্ডার জ্বলে উঠতে পারেনি। দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও লিটন দাস ফেরেন পাঁচ ওভারের মধ্যেই। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের ভেতরে ঢোকা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাজাই (১)। রবি ফ্রাইলিঙ্কের শিকার লিটন (১৯)।

দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনে নামা আফিফ হোসেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শহিদুল ইসলামের স্লোয়ার ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ (১৯)। ঝড় তোলেন মালিক। শুরুটা মেহেদী হাসান মিরাজকে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন ৩৪ বলে। ফিফটির পর তিনি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিল্পবকে একই ওভারে চার বলের মধ্যে হাঁকান তিনটি ছক্কা।

সেঞ্চুরির পথেই এগোচ্ছিলেন মালিক। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে তাকে থামান স্বদেশী আমির। ৫০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান মালিক। তিন ম্যাচে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং পাওয়া দুই ব্যাটসম্যান বোপারা ২৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪০ ও আন্দ্রে রাসেল ৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় খুলনার শুরুটাও ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রাসেলের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা রহমানউল্লাহ গুরবাজও টিকতে পারেননি। ২৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় খুলনা।

এরপর দলকে এগিয়ে নিয়েছেন মুশফিক। প্রথমে তিনি রাইলি রুশোকে নিয়ে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ৩৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করে রুশো আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে ৬১ রানের আরেকটি কার্যকরী জুটি গড়েন মুশফিক। ২০ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় শামসুর করেন ২৯।

শেষ তিন ওভারে খুলনার দরকার ছিল ৩২ রান। তবে মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসে খুলনা ম্যাচ জিতেছে দুই বল বাকি থাকতেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত